ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মেহেরপুরে হত্যা মামলায় কৃষক লীগ নেতাসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩
মেহেরপুরে হত্যা মামলায় কৃষক লীগ নেতাসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন

মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার লক্ষ্মীনারায়ণপুর ধলা গ্রামের এনামুল হক নইলু নামে এক কৃষককে হত্যা মামলায় উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আতিয়ার রহমানসহ আটজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শহিদুল্লাহ এ রায় দেন। এসময় আট আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- গাংনী উপজেলার লক্ষ্মীনারায়ণপুর ধলা গ্রামের মৃত ছৈয়পত আলীর ছেলে গাংনী উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আতিয়ার রহমান, জারমান আলীর ছেলে আব্দুল মান্নান ওরফে মানা, মহব্বত আলীর ছেলে ছামিদুল ইসলাম, রহমত উল্লাহর ছেলে শাহার আলী ও তার ছেলে টিপু সুলতান, গোলাম মোস্তফার ছেলে আব্দুল খালেক, আহম্মেদ আলীর ছেলে আক্তারুজ্জামান আক্তার, ও একই উপজেলার নওপাড়া আব্দুল আজিজের ছেলে জিল্লুর রহমান ওরফে জিল্লু।

মামলার বিবরণীতে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৯ জুলাই লক্ষ্মীনারায়ণপুরের ধলা গ্রামের আক্কাচ আলীর ছেলে এনামুল হক নইলু মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে ধলা গ্রামের ঈদগাহ মাঠের কাছে আতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। হামলায় এনামুল হক নইলু গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক তাকে রাজশাহী নেওয়ার পরামর্শ দেন। রাজশাহী নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহত এনামুল হক নইলুর বড় ভাই কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আজমাইল হোসেন টুটুল বাদী হয়ে দঃবিঃ ১৪৩/৩৪১/৩০২/৩৪ ধারায় আতিয়ার রহমান, ছামিদুল ইসলাম, শাহার আলী, টিপু সুলতান, আব্দুল খালেক, আক্তারুজ্জামান আক্তার, আব্দুল মান্নান ও জিল্লুর রহমানকে আসামি করে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর গাংনী থানা ৩৪। জি আর কেস নম্বর ২৪১/১৭। দায়রা কেস নম্বর ১৬৯/১৮।

মামলার প্রাথমিক তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন গাংনী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহাতাব উদ্দিন। পরে মামলাটি সিআইডির কাছে হস্তান্তর হয়। সিআইডির এসআই হাসান ইমাম প্রাথমিক তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলায় মোট ১৫ জনের সাক্ষ্যদানের ভিত্তিতে আতিয়ার রহমান, ছামিদুল ইসলাম, শাহার আলী, টিপু সুলতান, আব্দুল খালেক, আক্তারুজ্জামান আক্তার, আব্দুল মান্নান ও জিল্লুর রহমান দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিচারক তাদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে কৌঁসুলি ছিলেন মেহেরপুর জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্য। আসামিপক্ষে কৌঁসুলি ছিলেন অ্যাডভোকেট একেএম শফিকুল আলম।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।