ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বেঙ্গল সায়েন্টিফিককে কালো তালিকাভুক্তির আদেশ স্থগিত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৩
বেঙ্গল সায়েন্টিফিককে কালো তালিকাভুক্তির আদেশ স্থগিত

ঢাকা: দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মেডিকেল উপকরণ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিকেল কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ছয় মাসের জন্য এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।



একইসঙ্গে দুদক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আদেশ কেন বাতিল ও অবৈধ ঘোষনা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (১৫ মার্চ) এ আদেশ দিয়েছেন।

বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিকেল কোম্পানির স্বত্বাধিকারী জাহের উদ্দিন সরকার ও নুসরাত জাহান রত্নার করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল সিনিয়র আইনজীবী মুরাদ রেজা, অ্যাডভোকেট মো. রোকনুজ্জামান প্রিন্স, মিল্টন দাস ও স্বপ্নীল ভট্টাচার্য। দুদকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

আদেশের পর অ্যাডভোকেট মো. রোকনুজ্জামান প্রিন্স জানান, কালো তালিকাভুক্তির আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ফলে বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিকেল কোম্পানির ব্যবসা পরিচালনায় কোনো বাঁধা নেই।

আইনজীবী জানান, বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিকেল কোম্পানি দীর্ঘদিন বাংলাদেশে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। কোম্পানিটি এর আগে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাম, সিটি স্ক্যান, এমআরআই, ইকো, ব্লাড গ্যাস এনালাইজার মেসিনসহ এক হাজারের বেশি উপকরণ সরবরাহ করেছে। বিভিন্ন নামীদামি কোম্পানির প্রস্তুতকৃত এসব মেশিনারিজ যথাযথভাবে সচল রয়েছে। কিন্তু দুদক ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর বেশ কয়েকটি কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করতে মন্ত্রী পরিষদ সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে চিঠি দেয়।

ওই চিঠিতে বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিকেল কোম্পানির নাম যুক্ত করা হয় উদ্দেশ্যমূলকভাবে। এরপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিকেল কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করে ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি আদেশ জারি করে। দুদক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়। এই রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট দুদক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আদেশের কার্যকারিতা ছয়মাসের জন্য স্থগিত করেছেন এবং রুল জারি করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৩
টিএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।