ঢাকা: এনআরবি ব্যাংক থেকে এক কোটি ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ২২ মে পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (২৯ মার্চ) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। সাহেদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জরুল হক।
২০২০ সালের ২২ জুলাই দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ কমিশনের সহকারী পরিচালক সিরাজুল হক বাদী হয়ে সাহেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
সাহেদের সঙ্গে রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইব্রাহিম খলিল, এনআরবি ব্যাংকের করপোরেট হেড অফিসের সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার সোহানুর রহমান ও ব্যাংকটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদ বিন আহমেদকেও এই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এনআরবি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এনআরবি ব্যাংকের এক কোটি ১৮ লাখ ৮৯ হাজার ৩৪৯ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আনা হয়। সুদসহ যার পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি ৫১ লাখ ৮১ হাজার ৩৬৫ টাকা।
একই বছরের ১০ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক সিরাজুল হক তাকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। পরে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
এই মামলায় হাইকোর্ট তাকে ১ মার্চ জামিন দেন। সেই জামিনের বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে।
২০২০ সালের ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে করোনা ভুয়া পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম ধরা পড়ে। পরদিন ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
পরে ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সেই থেকে কারাবন্দি মো. সাহেদ।
এদিকে অস্ত্র মামলায় সাহেদকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেন বিচারিক আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৩
ইএস/এমজেএফ