রাজশাহী: নবজাতক চুরির অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এক দম্পতিকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন রাজশাহী মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে তাদের।
বুধবার (৫ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে রাজশাহীর মানবপাচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. অয়েজ উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণাকালে আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
রায় ঘোষণার পর রাজশাহী মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, রাজশাহীতে নবজাতক চুরির দায়ে মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে এক দম্পতির যথাক্রমে ১০ ও ৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেসঙ্গে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। রায়ে মামলার প্রধান আসামি মৌসুমী বেগমকে ১০ বছর ও তার স্বামী সজীব আহম্মেদকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
পিপি অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম বলেন, ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি মাসুম রবি দাস তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রী কমলী রবি দাস শিল্পীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। রাতে তার স্ত্রী অস্ত্রোপচারে মাধ্যমে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। পর দিন সকালে মৌসুমী বেগম হাসপাতালের ওই ওয়ার্ডে গিয়ে নবজাতকের পরিবারের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। শিশুটির মা বাচ্চাকে ঘুমিয়ে রেখে খাবার আনতে গেলে মৌসুমী শিশুটিকে চুরি করে পালিয়ে যান।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চুরি যাওয়ার পর ২৩ জানুয়ারি মহানগরীর মোন্নাফের মোড় পল্টুর বস্তি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে শিশুর বাবা মাসুম রবিদাস বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মৌসুমী স্বীকার করেন যে, শিশুটিকে ভারতে পাচারের উদ্দেশে তিনি ও তার স্বামী সজীব যোগসাজশ করে চুরি করেছিল। মামলায় তথ্য, উপাত্ত, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মৌসুমী ও তার স্বামী সজীবকে আজ এই সাজা দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২৩/আপডেট: ১৬১০ ঘণ্টা,
এসএস/এসএএইচ/এএটি