ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ন্যান্সির পদক চুরি: স্বামীসহ গৃহকর্মী রিমান্ডে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৯ ঘণ্টা, মে ২, ২০২৩
ন্যান্সির পদক চুরি: স্বামীসহ গৃহকর্মী রিমান্ডে

ঢাকা: জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সির বাসা থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অন্যান্য অলঙ্কার চুরির মামলায় গৃহকর্মী মোছা. তাহমিনা ও তার স্বামী শাকিলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (০২ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম রিমান্ডের এ আদেশ দেন।



গত ২৭ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক ছাদেক মিয়া দুই আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
সেদিন তদন্ত কর্মকর্তা উপস্থিত না থাকায় বিচারক তাদের কারাগারে পাঠিয়ে ২ মে তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন। সে অনুযায়ী আজ রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়।

রিমান্ড শুনানির জন্য দুই আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বাদী ন্যান্সির ভাই শাহরিয়া আমান সানি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী গোপাল চন্দ্র সাহা আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন।

আসামিপক্ষে আইনজীবী জাহিদ হোসাইন রিমান্ড বাতিল পূর্বক জামিন আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, ন্যান্সি স্বনামধন্য গায়ক। তাহমিনা তার বাসায় বুয়ার কাজ করেন। শাকিল তার স্বামী। তার দোষ, স্ত্রীকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে যান। তিনি সিকিউরিটির কাজ করেন।

আইনজীবী জাহিদ হোসাইন বলেন, তাহমিনা ন্যান্সির বাসা থেকে কাজ ছেড়ে যান ২২ দিন আগে। উনি (ন্যান্সি) যদি জানেন আমি খারাপ মানুষ, তাহলে যাওয়ার আগে মালামাল কেন খুঁজলেন না। ২২ দিন পর খেয়াল করলেন তার মালামাল চুরি হয়েছে। তাহমিনাকে কাজ করতে বাধ্য করতে না পেরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন।

উভয়পক্ষের শুনানি করতে শেষে আদালত আগামী তিন কার্যদিবসে আসামিদের একদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

শুনানিকালে আদালতে কাঁদতে দেখা যায় তাহমিনাকে। তার বোন ও অন্যান্য আত্মীয়রা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

জানা যায়, তাহমিনা ও রিপা ন্যান্সির বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। তাহমিনাকে প্রায় বাসা থেকে নিতে আসতেন শাকিল। রিপা মাঝে মধ্যে কাউকে না জানিয়ে বাসা থেকে চলে যেতেন। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বাসার কাউকে কিছু না জানিয়ে চলে যান রিপা। একইভাবে গত ৫ এপ্রিল বাসার কাউকে না জানিয়ে চলে যান তিনি। এ অবস্থায় গত ১৮ এপ্রিল ন্যান্সি দেখতে পান আলমারিতে তার দুটি স্বর্ণের চেইন, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ডায়মন্ডের লকেটসহ মূল্যমান অলঙ্কার নেই। যার মূল্য আনুমানিক তিন লাখ ২১ হাজার টাকা। এরপর ন্যান্সি তার পদক খোঁজে না পাওয়ায় রিপাকে সন্দেহ করেন।

এ ঘটনায় গৃহপরিচারিকা রিপাসহ তিনজনকে আসামি করে গুলশান থানায় মামলা করেন ন্যান্সির ভাই শাহরিয়া আমান সানি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২৩
কেআই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।