ঝালকাঠি: ঝালকাঠি সাবিহা কেমিক্যালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও ঢাকা মহানগর উত্তর শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি মো. শামীম আহম্মেদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (৭ মে) সকালে ঝালকাঠির দ্রুত বিচার আদালতের ভারপ্রাপ্তবিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান শুনানি শেষে শামীমের জামিনের আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি শামীম আহম্মেদ হাইকোর্টের নির্দেশে ঝালকাঠির চিফ জুডিসিয়িাল ম্যাজিস্ট্রেট মো. পারভেজ শাহরিয়ারের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করে। আদালত শুনানি শেষে আদালত আপসের শর্তে ঝালকাঠি আইনজীবী সমিতির সভাপতির জিম্মায় ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অন্তবর্তীকালিন জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ধার্য তারিখে শামীম আহম্মেদ আদালতে উপস্থিত না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিতকরার আবেদন করেন। মামলার বাদী আরিফুল হকের জামিন বাতিলের আবেদন করেন। আদালত জামিন বাতিল করে শামীম আহম্মেদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর দীর্ঘদিন পলাতক থেকে রোববার আদালতে আইনজীবীদের মাধ্যমে তিনি জামিনের আবেদন করেন। আদালত উভয়পক্ষের আইনজীবীদের দীর্ঘ শুনানি শেষে তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
গত ৫ জানুয়ারি ৭৫ লাখ টাকা মূল্যের প্রাইভেটকার ভাঙচুর ও ম্যানেজারের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে ঝালকাঠি দ্রুত বিচার আদালতে এ মামলাটি করেছিলেন শামীম আহম্মেদের ছোট ভাই আরিফুল হক। আদালত আরিফের আবেদন ঝালকাঠি থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন। ইতিমধ্যে ঝালকাঠি থানার এসআই চয়ন হাওলাদার দ্রুত বিচার আইনের মামলায় শামীম আহম্মেদকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন।
আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বনি আমিন বাঁকলাই, শামীম আলমসহ একাধিক সিনিয়র আইনজীবী।
অপরদিকে বাদিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আক্কাস শিকদার, আসম মাহমুদুর রহমান পারভেজসহ একাধিক সিনিয়র আইনজীবী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২৩
জেএইচ