ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার খাজুরা গ্রামে ৭ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে তিনজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
সোমবার (১৫ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঝিনাইদহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ দণ্ড দেন।
অভিযুক্তরা হলেন- ঝিনাইদহের খাজুরা গ্রামের মন্তেজ আলীর ছেলে বাদশা মিয়া, একই গ্রামের মন্টুর ছেলে রুহুল আমিন ও জাফর হোসেনের ছেলে মনু মিয়া।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১২ আগস্ট সদর উপজেলার খাজুরা গ্রামে ৭ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী তার ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। ঘুম থেকে উঠে মাকে না পেয়ে বাড়ির পাশে একটি মোড়ে যায়। সেসময় একই এলাকার বাদশা তাকে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী একটি আম বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে বাদশা, রুহুল আমিন ও মনু মিয়া ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে তামান্না পার্কের একটি ঘরে আটকে রাখে। রাত ১২টার দিকে ছাড়া পেয়ে মেয়েটি বাড়িতে আসে। এ ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে পরদিন সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত ওই মামলার অভিযুক্ত বাদশা মিয়া, রুহুল আমিন ও মনু মিয়াকে ফাঁসির আদেশ দেন। একই সঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৩
আরএ