ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

লক্ষ্মীপুরে অস্ত্র মামলায় যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৭ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২৩
লক্ষ্মীপুরে অস্ত্র মামলায় যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে অস্ত্র মামলায় মো. ইউসুফ (৪৪) নামে এক ব্যক্তির ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও ৬ মাসের দণ্ড দেওয়া হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দিয়েছেন। রায়ের সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইউসুফ উপস্থিত ছিল না, গ্রেপ্তারের পর জামিনে বের হয়ে সে পলাতক রয়েছে। একই মামলায় অপর আসামি মো. আজিমকে (৩০) বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।  

দণ্ডপ্রাপ্ত ইউসুফ নোয়াখালী জেলার চরজব্বর থানাধীন চর জব্বর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চর পানা উল্যাহ গ্রামের মৃত আব্দুর রবের ছেলে। তবে সে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তেলিরচর জনতা বাজার এলাকায় বসবাস করতেন।

খালাসপ্রাপ্ত আজিম ওই এলাকার ইসমাইল মাঝির ছেলে। তারা নদীতে দস্যু্তা, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়সহ নানা অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানায় র‍্যাব। আজিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে পূর্বে লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানায় তিনটি, নোয়াখালীর হাতিয়া থানায় একটি এবং ভোলার তজমুদ্দিন থানায় একটি মামলা রয়েছে।  

জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

মামলার এজাহার ও আদালত সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ১২ আগষ্ট ভোররাতে র‍্যাব-১১ লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের সদস্যরা রামগতির চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নের জনতা বাজার সংলগ্ন জনৈক ইউনুসের বাড়ির সামনে অভিযান চালিয়ে মো. ইউসুফকে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে একটি এলজি (বন্দুক) ৬টি ১২ বোর কার্তুজ জব্দ করা হয়। র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ইউসুফের সহযোগী মো. আজিম পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তার ফেলে যাওয়া একটি ব্যাগে ৬টি ১২ বোর কার্তুজ পাওয়া যায়।  

এ ঘটনায় র‍্যাব-১১ লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের তখনকার ডিএডি (পুলিশ পরিদর্শক) মো. বুরহান উদ্দিন বাদি হয়ে ওইদিন রামগতি থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন। এতে আটককৃত ইউসুফকে প্রধান এবং পলাতক আজিমকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়। অস্ত্র মামলায় ইউসুফকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রামগতি থানা পুলিশ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। পরে জামিনে বেরিয়ে পলাতক থাকে ইউসুফ।  

এদিকে রামগতি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইকবাল হোসাইন অস্ত্র মামলাটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এতে ইউসুফ ও আজিমকে অভিযুক্ত করা হয়।  

আদালত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ইউসুফের দণ্ড এবং আজিমকে খালাসের রায় দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।