ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নরসিংদীতে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩০ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২৩
নরসিংদীতে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন  সাজাপ্রাপ্ত ঝুনু বেগম

নরসিংদী: নরসিংদীতে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রী ঝুনু বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আরও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (০৬) দুপুরের দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক আ ন ম ইলিয়াস এ রায় দেন।  

সাজাপ্রাপ্ত ঝুনু জেলার শিবপুর উপজেলার খড়িয়া দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা নিহত মোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী। সেও (ঝুনু) একই পাড়ার বাসিন্দা।  

আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২০ বছরে আগে মোফাজ্জল হোসেনের সঙ্গে ঝুনু বেগমের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের ১৭ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ঝুনু আধুরী ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতেন। চাকরির বিষয়টা ঝুনুর স্বামী মোফাজ্জল পছন্দ করতেন না। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। এরই জের ধরে ২০২২ সালের ২১ জুলাই রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ওই সময় শাবল দিয়ে স্বামী মোফাজ্জলের মাথায় আঘাত করেন ঝুনু। এতে ঘটনাস্থলেই তার স্বামীর মৃত্যু হয়। পরে নিহতের ভাই আলী হোসেন বাদী হয়ে শিবপুর থানায় ঝুনুর নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।  

পুলিশ ও আদালতের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেন ঝুনু। পরে আদালত ১০ মাস ১৪ দিনের মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে  মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।  

বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট খন্দকার হালিম ও আসামিপক্ষের আইজীবী ছিলেন আরিফুল ইসলাম।  

নিহত মোফাজ্জলের ভাই ও মামলার বাদী আলী হোসেন বলেন, আমরা এই রায়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারিনি। সরকারের কাছে দাবি- এ ধরনের অপরাধ বন্ধে ঝুনুর ফাঁসি দেওয়া হোক। যাতে করে আর কেউ খুনের শিকার না হন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার হালিম বলেন, মাত্র ১০ মাসে নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্য শেষ হয়েছে। আসামি নিজে খুনের ঘটনা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন। আর ১৪ জনের সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক অভিযুক্ত ঝুনুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।