ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

টিপু-প্রীতি হত্যা: আ.লীগ নেতাসহ ৯ জনের নামে পরোয়ানা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৮ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৩
টিপু-প্রীতি হত্যা: আ.লীগ নেতাসহ ৯ জনের নামে পরোয়ানা

ঢাকা: রাজধানীর শাহজাহানপুরে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি হত্যা মামলায় ৩৩ জনের নামে দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত।  

একই সঙ্গে মামলায় পলাতক দুই আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৯ আসামির নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

এছাড়া জামিনে থাকা তিন আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ আদেশ দেন।  

এতে পলাতকদের বিষয়ে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আগামী ১৭ আগস্ট ধার্য করেন আদালত।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আশরাফ তালুকদার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা মারুফ আহমেদ মনসুর, শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহম্মেদ মন্টু, ফ্রিডম মানিক ওরফে জাফর, প্রধান সমন্বয়কারী সুমন সিকদার মুসা, শুটার মাসুম মোহাম্মদ আকাশ, শামীম হোসাইন, তৌফিক হাসান ওরফে বিডি বাবু, ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি মারুফ রেজা সাগর, ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরিফুর রহমান ওরফে ‘ঘাতক’ সোহেল, মতিঝিল থানা জাতীয় পার্টির নেতা জুবের আলম খান রবিন, হাফিজুল ইসলাম হাফিজ, হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক সোহেল শাহরিয়ার, মাহবুবুর রহমান টিটু, নাসির উদ্দিন মানিক, মশিউর রহমান ইকরাম, ইয়াসির আরাফাত সৈকত, আবুল হোসেন মোহাম্মদ আরফান উল্লাহ ইমাম খান, সেকান্দার শিকদার আকাশ, মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম মাতবর, আবু সালেহ শিকদার, কিলার নাসির, ওমর ফারুক, মোহাম্মদ মারুফ খান, ইশতিয়াক আহম্মেদ জিতু, ইমরান হোসেন জিতু, রাকিবুর রহমান রাকিব, মোরশেদুল আলম পলাশ,  রিফাত হোসেন, সোহেল রানা, ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক নেতা আমিনুল, সামসুল হায়দার উচ্ছল ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান বাবুল।

এদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আশরাফ তালুকদার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা মারুফ আহমেদ মনসুর, ফ্রিডম মানিক, সন্ত্রাসী জিসান, ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আমিনুল, ১১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান বাবুল, সোহেল রানা মোল্লা, রিফাত হোসেন ও শামসুল হায়দার উচ্ছল পলাতক থাকায় আদালত তাদের
নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।  

পাশাপাশি, আসামি মশিউর রহমান ইকরাম, আরিফুর রহমান সোহেল ও তৌফিক হাসানের জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে রাকিব ও মোরশেদুল আলমের জামিন বহাল রেখেছেন আদালত।

এর আগে গত ৫ জুন ওই ৩৩ জনের নামে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার। যদিও তদন্তে ৩৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। তবে এক্সেল সোহেল নামে এক আসামির পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি। তাই তাকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

গত বছরের ২৪ মার্চ রাত পৌনে ১০টার দিকে মতিঝিল এজিবি কলোনী কাঁচাবাজার সংলগ্ন রেস্টুরেন্ট থেকে বাসায় ফেরার পথে শাজাহানপুর আমতলা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত হন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী প্রীতি। এসময় গুলিবিদ্ধ হন টিপুর গাড়িচালক।

এ ঘটনায় টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৩
কেআই/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।