কক্সবাজার: কক্সবাজারে ইয়াবা পাচার মামলায় তিন রোহিঙ্গা নাগরিককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেন কক্সবাজারের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- উখিয়া উপজেলার ১২ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের জি-৩ ব্লকের মৃত আবুল কাশিমের ছেলে মো. কামাল হোসেন, ১১ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের সি-১৫ ব্লকের মৃত মমতাজ মিয়ার ছেলে মো. ইসমাইল এবং একই আশ্রয় শিবিরের সি-১৩ ব্লকের মৃত কবির আহমদের ছেলে মো. শাকের।
মামলার নথির বরাতে পিপি ফরিদুল আলম বলেন, ২০২২ সালের ১৫ জানুয়ারি রাতে টেকনাফ থেকে যানবাহনযোগে মাদকের বড় একটি চালান পাচারের খবরে র্যাবের একটি দল কক্সবাজার শহরের বড়ছড়া এলাকায় মেরিন ড্রাইভ সড়কে অস্থায়ী তল্লাশি চৌকি স্থাপন করে। এক পর্যায়ে টেকনাফ থেকে আসা সন্দেহজনক একটি অটোরিকশাকে থামার জন্য নির্দেশ দেয়। এসময় অটোরিকশাটি থামলে এতে থাকা ৫ জন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। পরে ধাওয়া দিয়ে তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অপর দুজন পালিয়ে যায়।
পরবর্তীদের আটকদের দেহ ও অটোরিকশাটি তল্লাশি করে এক লাখ ৩৮ হাজার ৪০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেন র্যাব সদস্যরা।
এ ঘটনায় পরদিন (১৬ জানুয়ারি, ২০২২) র্যাবের একজন সদস্য বাদী হয়ে আটকদের নামে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর আদালত গত ২৩ আগস্ট আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন। এতে ১৫ জনকে সাক্ষী করা হয়, তবে সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে ৬ জনের।
পিপি ফরিদুল বলেন, মঙ্গলবার (২০ জুন) এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যেককে আরও ২ বছর করে সাজার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার রায় ঘোষণাকালে ৩ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৩
এসবি/এনএস