ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ফরিদপুরে কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৫ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২৩
ফরিদপুরে কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন 

ফরিদপুর: ফরিদপুরে এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের দায়ে মিলন খাঁন (৩২) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হফিজুর রহমান এ রায় দেন।  

রায় দেওয়ার সময় আসামি মিলন খাঁন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে পুলিশ প্রহরায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

গত ২০১১ সালের ২ অক্টোবর এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার প্রায় এক যুগ পর (১২ বছর) বৃহস্পতিবার (২২ জুন) এ রায় দিলেন আদালত। মিলন খান ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের দৈবকনন্দনপুর গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন আসামি মিলন খান। কিশোরী নাবালিকা হওয়ায় বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করে দিলে মিলন খান কিশোরীকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়। গত ২০১১ সালের ২ অক্টোবর সন্ধ্যায় ওই কিশোরী পুকুরে পানি আনতে গেলে মিলন খান বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে অন্য জায়গায় নিয়ে যান। এ ঘটনায় গত ৩০ অক্টোবর বোয়ালমারী থানায় মিলন খানসহ চারজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন ওই কিশোরীর বাবা

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আতিয়ার রহমান ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর মিলন খানকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

মিলন খানের মা চম্পা বেগম বলেন, মিলনের সঙ্গে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা পালিয়ে বিয়ে করেছিল। কিশোরীর পরিবার বড় লোক হওয়ায় মামলা দিয়ে আমার ছেলেকে ফাঁসিয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি স্বপন পাল বলেন, এ রায়ে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২৩

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।