ঢাকা, শনিবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১ রবিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

গ্রামীণ কল্যাণের ১০৬ শ্রমিক মুনাফা পেতে পদক্ষেপ নিতে পারবেন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২৩
গ্রামীণ কল্যাণের ১০৬ শ্রমিক মুনাফা পেতে পদক্ষেপ নিতে পারবেন

ঢাকা: ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ কল্যাণের চাকরিচ্যুত ও অবসরে যাওয়া ১০৬ শ্রমিককে মুনাফা দিতে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের ওপর হাইকোর্টের দেওয়া স্থিতাবস্থা স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।  

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (২২ জুন) চেম্বার বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী এ আদেশ দেন।

 

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. গোলাম রাব্বানী শরীফ। গ্রামীণ কল্যাণের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।  

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করায় বিধি অনুযায়ী মুনাফা দিতে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল যে রায় দিয়েছিলেন, সে রায়ই বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন শ্রমিকদের আইনজীবীরা।  

আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, শ্রমিকদের মুনাফার অংশ দিতে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ে হাইকোর্টের দেওয়া স্থিতাবস্থা আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। ওইদিন শ্রমিকদের আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য রাখা হয়েছে।  

শ্রম আইনে বলা আছে, শ্রম আইন কার্যকর হওয়ার দিন থেকে কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের কল্যাণ ও অংশগ্রহণ তহবিলে দিতে হবে।  

গ্রামীণ কল্যাণ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ কোম্পানিভুক্ত একটি অলাভজনক সামাজিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ১০৬ জন শ্রমিক ২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ পর্যন্ত বিভিন্ন পদে এ প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। তাদের কেউ অবসরে গেছেন। আবার কাউকে চাকরিচ্যুত হয়েছেন।  

কিন্তু চাকরির পর প্রতিষ্ঠানটির মুনাফার কোনো অংশ তারা পাননি। অথচ ২০২১ সাল থেকে গ্রামীণ কল্যাণের মুনাফার অংশ শ্রমিকদের দেওয়া হচ্ছে। যে কারণে এ শ্রমিকরা মুনাফার অংশ চেয়ে প্রথমে গ্রামীণ কল্যাণের কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ দেন। সাড়া না পেয়ে পরে তারা মামলা করেন। গত ৩ এপ্রিল এ মামলার রায় দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। রায়ে ট্রাইব্যুনাল আইন-বিধি অনুসারে ২০০৬ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত সময়ের মুনাফার অংশ দিতে নির্দেশ দেন।  

পরে এ রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন গ্রামীণ কল্যাণ কর্তৃপক্ষ। সে রিটের প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।  

শ্রমিকদের মুনাফার অংশ দিতে নির্দেশ দেওয়া শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয় রুলে। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলেন উচ্চ আদালত। আর অন্তর্বর্তী আদেশে হাইকোর্ট ট্রাইব্যুনালের রায়ে স্থিতাবস্থা দেন। ফলে ১০৬ শ্রমিকের মুনাফা পাওয়ার প্রক্রিয়া আটকে যায়।  

পরে ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন শ্রমিকরা। শুনানির পর চেম্বার আদালত হাইকোর্টের স্থিতাবস্থার আদেশ স্থগিত করায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল থাকছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২৩
ইএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।