ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ড. এস তাহের হত্যা: দুই আসামির প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১০ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
ড. এস তাহের হত্যা: দুই আসামির
প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ

রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।  

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন হজে যাওয়ার আগে এ আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন।

এ আদেশ এরই মধ্যে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শেষ এ প্রক্রিয়ায় আবেদন নাকচের পর এ দুই আসামির ফাঁসি কার্যকরে আর কোনো আইনি বাধা রইল না। যে কোনো দিন বা সময়ে রাজশাহী কারা কর্তৃপক্ষ তাদের ফাঁসি কার্যকর করতে পারবে।

যদিও এ আবেদন নাকচ সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র এখনও এসে পৌঁছায়নি বলে দাবি করেছে- রাজশাহী কারা কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (২৬ জুন) রাতে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল জানিয়েছেন, তিনিও বিষয়টি শুনেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছায়নি। তাই কাগজপত্র না পাওয়া পর্যন্ত তিনি এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য দিতে পারবেন না।

এর আগে গত ২ মার্চ ড. এস তাহের হত্যা মামলায় এ দুজনের ফাঁসি এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে দেন সর্বোচ্চ আদালত। নিম্ন আদালতে দুজনের মৃত্যুদণ্ডের যে রায় এসেছিল, তাই বহাল থাকে আপিল বিভাগে, খারিজ হয় রিভিউ আবেদনও।

এজন্য প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা ছিল না তাদের কাছে। তবে এরপরও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলার এ দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে গত ৭ মে ফের রিট আবেদন করেন তাদের স্বজনরা। কিন্তু উত্থাপিত হয়নি মর্মে পরে সেই আবেদনও খারিজ করে দেন বিচারপতি মো. জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ। মূলত এর পরই কারাবিধি অনুযায়ী ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি রাষ্ট্রপতির কাছে এ ঘটনায় দোষ স্বীকার করে নিজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন জানান।

বাংলাদেশ সময়: ০১০৭ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
এসএস/এসআই 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।