সিলেট: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় চাঞ্চল্যকর তমজিদ আলী হত্যা মামলার দীর্ঘ ২২ বছর পর চার আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ রায়ে প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে সিলেটের বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন এ আদেশ দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গোয়াইনঘাট উপজেলার ইটাচকি গ্রামের আব্দুর রব, একই গ্রামের ইদ্রিছ আলীর ছেলে আব্দুর রহমান, পার্শ্ববর্তী ইস্তি গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে রইছ আলী ও নুর মিয়ার ছেলে ফজল উদ্দিন।
বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মো. ফখরুল ইসলাম ও পেশকার মো. আহমদ আলী।
তারা জানান, এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি জামিনে ছিলেন। আজ তারা আদালতে হাজিরা দিতে এলে রায় শোনানোর পর কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া এ মামলায় মোট ১৫ আসামির ১০ জনকে খালাস দেওয়া হয় এবং সাজিদুর হক নামের এক আসামি বিচার চলাকালে মৃত্যুবরণ করেন।
মামলার বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, ২০০১ সালের ৮ আগস্ট সকাল সাড়ে ৬টায় সিলেটের গোয়াইনঘাটে ইস্তি গ্রামে খাল দখলকে কেন্দ্র করে হাত-পা বেঁধে দা দিয়ে কুপিয়ে জেলে তমজিদ আলীকে হত্যার পর মরদেহ হাওরে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পরদিন নিহতের স্ত্রী পেয়ারা বেগম ১৫ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা (নং-৬ (৮)০০১) দায়ের করেন। পরবর্তীতে তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০০২ সালের ২ মার্চ চার্জশিট দাখিল করেন। ২০০৩ সালের ৫ নভেম্বর সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন সদর সার্কেল এএসপি সিদ্দিকী তানজিলুর রহমান।
মামলাটি জিআর ৭৭/২০০১ মূলে আদালতে রেকর্ড করা হয়। ২০০৪ সালে এ আদালতে দায়রা ৩/২০০৪ মূলে রেকর্ড করে বিচার শুরু হয়। মামলায় দীর্ঘ শুনানিতে ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আজ এ হত্যা মামলায চারজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। একইসঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়। সেসঙ্গে অন্য সব আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকটে ওবায়দুর রহমান। আর রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মো. ফখরুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৩
এনইউ/এএটি