ঢাকা: মারধরের অভিযোগে নায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় তদন্ত কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৩ আগস্ট) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগম এ আদেশ দেন।
তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নাম নথিতে যুক্ত না থাকায় তদন্ত সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি হেডকোয়ার্টার বরাবর এ শোকজ পাঠানো হয়। একইসঙ্গে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১১ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রাশেদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
২০২২ সালের ৭ জুলাই একই আদালতে এই মামলা করেন নাসির। মামলায় পরীমণি ছাড়াও তার দুই সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমিকে আসামি করা হয়।
মামলার আরজিতে বলা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহল সেবী। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান।
আরজিতে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া একটার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাদী নাসির উদ্দিনকে ডাক দেন এবং তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসার অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে পরীমণি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসির উদ্দিনকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনা মূল্যে পারসেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি বাদীকে গালমন্দ করেন। বাদী এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমণি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির উদ্দিন মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন।
এতে আরও বলা হয়, পরীমণি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমণি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২৩
কেআই/আরআইএস