ঢাকা: ১১ বছর আগে দাম্পত্য কলহের জেরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে চন্দনা হত্যা মামলায় তার স্বামীকে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ পরিমার্জন করে যাবজ্জীবনের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য আসা ডেথ রেফারেন্স ও আসামির আপিল খারিজ এবং দণ্ড পরিমার্জন করে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রায় দেন বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহাম্মেদ হিরো, আবু নাসের স্বপন ও মির্জা মোহাম্মদ শোয়েব মুহিত। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী নারগিস আক্তার।
২০১০ সালের ২২ এপ্রিল চন্দনার সঙ্গে সাজুর বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্যজীবনে বনিবনা না হওয়ায় ওই বছরের ২ আগস্ট সাজুকে তালাক দেন চন্দনা। কিন্তু পারিবারিকভাবে মীমাংসা হলে ওই বছরের ২৮ অক্টোবর চন্দনা ও সাজুর পুনরায় বিয়ে দেওয়া হয়।
২০১২ সালে চন্দনা মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়তেন। তিনি কলেজের ছাত্রী নিবাসে থাকতেন। আসামি সাজু পরিকল্পনা মোতাবেক ঢাকায় আসেন এবং ওই বছর মে মাসে ১ তারিখে আদাবরের শেখেরটেক রোডে একটি বাসায় সাবলেট নেন।
১৪ মে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই দম্পতির ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে সাজু ঘরে থাকা কাঁচি (সিজার) দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করেন চন্দনাকে। এতে চন্দনার মৃত্যু হয়। হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিন পর গ্রেপ্তার হয় সাজু। এ মামলায় ২০১৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। পরে বিধান অনুসারে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হলে আসামি আপিল করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩
ইএস/এএটি