সাতক্ষীরা: ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণার পর রাত পোহাতেই সাতক্ষীরায় পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
শুক্রবারও ভারতীয় যে পেঁয়াজ ৯০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে, এক রাতের ব্যবধানে শনিবার তা বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা দরে।
পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যের লাগাম টানতে শ্যামনগরের নকিপুর কাঁচাবাজারে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় তিন ব্যবসায়ীকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান।
নকিপুর কাঁচা বাজারে কেনাকাটা করতে আসা হায়বাতপুর এলাকার শেখ মনিরুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার পেঁয়াজের দাম কম ছিল। কিন্তু ভারত সরকারের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার অজুহাতে হঠাৎ করেই ব্যবসায়ীরা একযোগে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। পেঁয়াজ কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছেন। পর্যাপ্ত পেঁয়াজ থাকার পরও তারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।
নকিপুর বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম বলেন, পেঁয়াজের দাম বাড়ার খবরে অনেক ক্রেতাই বেশি করে পেঁয়াজ কিনে মজুদ করছেন।
এসময় পেঁয়াজ আমদানিকারকরাই পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
শ্যামনগরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির অভিযোগে নকিপুর কাঁচাবাজারের তিন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। কেউ যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পেঁয়াজের দাম বাড়াতে না পারেন, সেই লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সাতক্ষীরা পৌরসভার কাটিয়া এলাকার বাসিন্দা আনিসুর রহমান জানান, পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, এমন খবর পেয়ে শুক্রবার রাতেই বড়বাজারে গিয়েছিলাম। ৮০ টাকার পেঁয়াজ তখন কিনেছি ১০০ টাকায়। অথচ রাত পার না হতেই শনিবার বড়বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।
সাতক্ষীরার ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নওশাদ দেলওয়ার রাজু জানান, বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে দাম বাড়াচ্ছে।
রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, অনেকের এলসি খোলা থাকলেও পণ্য বুকিং না হওয়ায় তারা ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ভারত সরকারের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত পেঁয়াজ আমদানির ব্যবস্থা করা উচিত সরকারের।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২৩
এসএএইচ