ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সাংবাদিক নাদিম হত্যায় প্রধান আসামি বাবুর জামিন স্থগিত থাকবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৪
সাংবাদিক নাদিম হত্যায় প্রধান আসামি বাবুর জামিন স্থগিত থাকবে

ঢাকা: জামালপুরের বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি বকশীগঞ্জ উপজেলার ৪ নম্বর সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ বরখাস্ত চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে হাইকোর্টের দেওয়া ছয় মাসের জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ চলমান থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো.সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন এস এম আবুল হোসেন।

এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার বিচারপতি মো.জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ছয় মাসের জামিন দেন।

পরদিন এই জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ২০ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার জজ এম ইনায়েতুর রহিম ২০ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেন। এর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ নিয়মিত লিভ টু আপিল দায়ের করে। সেই আবেদনের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার স্থগিতাদেশ চলমান রেখে আদেশ দেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো.সারওয়ার হোসেন বাপ্পী জানান, ১৪ জুন নির্মমভাবে সাংবাদিক নাদিম খুন হয়েছে। দেশবাসী, বিশ্ববাসী দেখেছে। সিসি ফুটেজে এটা ধরা পড়েছে। হি (বাবু) ইজ দ্য পাইওনিয়ার। এই বাবু সাংবাদিক নাদিমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটা মামলা করেছিল। যেদিন এই মামলা খারিজ হয়, ঠিক ওইদিন ওই ঘটনাটা ঘটে। সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এই মামলায় গ্রেফতার হয়ে বাবু স্বীকারোক্তি করেছে। আরও দুজনসহ অভিযুক্ত মনির ও রেজাউল স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।  এই দুজন বাবুর বিষয়ে কিছুটা ইনভলভমেন্ট করিয়েছে। সেটা হলো-ঘটনার আগে পরে তার(বাবু) সঙ্গে কথা হয়। বাবু নিজেও স্বীকারোক্তি করেছেন। পরবর্তীতে হাইকোর্টের একটি ভ্যাকেশন বেঞ্চ তাকে ছয় মাসের জন্য জামিন দেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করে স্থগিতাদেশ পাই ৮ সপ্তাহের জন্য। ২০ নভেম্বর পর্যন্ত। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ পিটিশন ফাইল করে। আজকে এটার ওপর ফুল কোর্টে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ আদেশে বলেছেন-যেহেতু চেম্বার স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন সেটা কন্টিনিউ করবে, আর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন।  

তিনি আরও বলেন, নাদিমকে মারার ব্যাপারে বাবু একটা স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। সেখানে তিনি নিজে একটা কথা বলেছেন। ‘নাদিমকে মারার আগে আমি রেজাউলের সঙ্গে কথা বলেছি। ’ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে, ১৪ জুন নাদিম ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দেন ‘ঘটনার অনেকদিন আগে আমি নাদিমকে এক মিনিটে দেখে নেওয়ার কথা বলি’ এটা তার স্বীকারোক্তি ছিল।

গত বছরের ১৪ জুন রাতে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বকশিগঞ্জের পাটহাটি এলাকায় হামলার শিকার নিহত হন বাংলানিউজের সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম। ১৫ জুন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ১৬ জুন দুই দফা জানাজার পর বকশিগঞ্জের গুমের চর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় সাংবাদিক নাদিমকে। এ ঘটনায় ১৭ জুন বকশিগঞ্জ থানায় মাহমুদুল আলম বাবুসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন তার স্ত্রী মনিরা বেগম। বকশিগঞ্জ থানা পুলিশ থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পর এখন মামলাটির তদন্ত করছে সিআইডি।  

নাদিম হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে আরও পড়তে ক্লিক করুন

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৪
ইএস/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।