ঢাকা: বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচন-২০২৪ কেন অবৈধ, বেআইনি ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে প্রতি রুলনিশি জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয় গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত এই রুল জারি করেন।
স্বপ্রণোদিত এ রিটে ১ নম্বর বিবাদী করা হয়েছে নৌ সচিবকে। এছাড়াও প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত বিআইডব্লিউটিএর আরও পাঁচ কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে। এর মধ্যে নৌসচিব ছাড়া অন্য সবাইকে রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।
গত ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় বিআইডব্লিউটিএ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন। পরেরদিন ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিলের নানা অসঙ্গতি নিয়ে একটি দৈনিক পত্রিকায় ভোটগ্রহণের দিনই 'অভিনব তফসিলে আট বছর পর নির্বাচন' শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এর পরবর্তী কার্যদিবসে প্রতিবেদনটি বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয় গঠিত বেঞ্চের দৃষ্টিতে আনেন আপিল বিভাগের আইনজীবী মন্টু চন্দ্র ঘোষ।
আদালত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে তাকে হলফনামাসহ রিট পিটিশন (দরখাস্ত) দাখিল করতে বলেন। বৃহস্পতিবার এই রিটের ওপর শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন আদালত।
বিআইডব্লিউটিএ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্রে ভোটগ্রহনের অন্তত ৩০ দিন আগে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের বিধান থাকলেও তা লঙ্ঘন করে চার দিন আগে ৫ মার্চ তড়িঘড়ি করে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়। গঠনতন্ত্র লঙ্ঘণ করে প্রেষণে থাকা পছন্দের কর্মকর্তাদেরও ভোটার তালিকাভুক্ত করা হয়।
এছাড়া গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে সংগঠনের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আহবায়ক ভোটগ্রহণের দিন সকালে বিশেষ সাধারণ সভা দেখিয়ে সেখানে ওইদিন দুপুর আড়াইটা থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রি, দাখিল, বাছাই, প্রত্যাহার, আপত্তি, খসড়া প্রার্থী তালিকা ও চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ভোটগ্রহণ করেন, যা নজিরবিহীন ঘটনা।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মন্টু চন্দ্র ঘোষ।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৪
টিএ/এফআর