ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

অরিত্রীর আত্মহত্যা: ফের পেছাল মামলার রায়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৫ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২৪
অরিত্রীর আত্মহত্যা: ফের পেছাল মামলার রায়

ঢাকা: ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় প্রতিষ্ঠানটির দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ফের পিছিয়েছে।  

সোমবার (৩ জুন) ঢাকার ১২তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল।

তবে বিচারক ছুটিতে থাকায় আজ রায় ঘোষণা হচ্ছে না। পরে ভারপ্রাপ্ত বিচারক রায়ের নতুন তারিখ নির্ধারণ করবেন বলে জানান ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী রাহিমুল করিম আকন্দ।  

গত বছরের ২৭ নভেম্বর এ মামলায় রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ২১ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়। এরপর চার দফা পিছিয়ে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। তবে আজও পঞ্চমবারের মতো রায়ের তারিখ পেছাল।  

এ মামলার আসামিরা হলেন- ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও প্রভাতি শাখার প্রধান জিনাত আক্তার।

এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি আইনের ৩০৬ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।

এর আগে ২০১৯ সালের ১০ জুলাই ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম এ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। সেই আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলেও পরে মামলাটি ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-১২ তে বদলি করা হয়। সেই আদালতেই বিচারকাজ শেষ হয়। মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষে ১৮ সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালে ৩ ডিসেম্বর রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় শিক্ষার্থী অরিত্রী। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে ভিকারুননিসার বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে।

ঘটনার পরদিন রাজধানীর পল্টন থানায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতি শাখার প্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর দুই শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করা হলেও পরে তারা জামিনে মুক্তি পান।

মামলার এজাহারে বলা হয়, অরিত্রীর স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের ডেকে পাঠায়। ৩ ডিসেম্বর স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়, অরিত্রী মোবাইল ফোনে নকল করছিল তাই তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এজাহারে অরিত্রীর বাবা আরও উল্লেখ করেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ মেয়ের সামনে তাকে অনেক অপমান করে। এ অপমান এবং পরীক্ষা দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

২০১৯ সালের ২০ মার্চ দুই শিক্ষককে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার।  

বাংলাদেশ সময়: ১২০৯ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২৪
কেআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।