ঢাকা: সরকারি চাকরিতে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
বুধবার (১০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চে শুনানি শেষে এ রায় দেন আদালত।
অন্তর্বর্তীকালীন এই আদেশের পর শিক্ষার্থীদের রাস্তায় আন্দোলন করার আর কোনো যৌক্তিকতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আমি বলব, আপনাদের আর আন্দোলন করার যৌক্তিক কারণ নেই। যেহেতু আদালত একটি অন্তর্বর্তী আদেশ দিয়েছেন। আপনারা সবাই রাস্তা ছেড়ে (দেন)। জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করবেন না, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে মানুষের সমস্যা হয়। মানুষের সমস্যা হলে রাষ্ট্রকে দেখতে হয়। এ কথাগুলো বিবেচনা করে অবশ্যই আপনারা আপনাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করুন।
শুনানিতে আদালত কী বলেছেন - সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা বলেন, আদালত একটি কথা বলেছেন, কোনোভাবেই রাস্তায় আন্দোলন করে তো আদালতের রায় পরিবর্তন করা যায় না। আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে কারো যদি বক্তব্য থাকে, সেক্ষেত্রে আদালতে আসতে হবে। আদালত বলেছেন, আদালতে আসতে।
প্রধান বিচারপতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে কী বলেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, প্রধান বিচারপতি শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যেতে বলেছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসে নিয়ে যাবেন, বোঝাবেন।
এদিকে ‘ঝুলন্ত রায়’ মানেন না বলে জানিয়েছেন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা।
তারা বলছেন, কোটা বাতিলে হাইকোর্টের ঝুলন্ত রায় মানি না। আমরা স্থায়ী সমাধান চাই। নির্দিষ্ট একটি ট্রাইবুনাল গঠন করে পুরোপুরি একটি আইন পাশ করতে হবে। নইলে আমরা রাজপথে আন্দোলন করেই যাব।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি অনুষদ চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আশিক আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এক দফা দাবি। প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বাদে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সব কোট বাদ দিতে হবে।
আরও পড়ুন>> ‘আপাতত কোটা বাতিলের পরিপত্র বহাল থাকবে’
আদেশের পর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে যা বললেন অ্যাটর্নি জেনারেল
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২৪
ইএস/এসএএইচ