ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জুলাই ৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের জন্য গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নাগরিকদের কাছে তথ্য চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের প্রধান হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান।
বুধবার (২৪ জুলাই) সুপ্রিমকোর্ট অডিটোরিয়ামে কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান বলেন, ‘কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। এই আন্দোলন চলাকালীন গত ১৬ জুলাই সারা দেশে এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হয় এবং ৬ জন ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেন। তার প্রেক্ষিতে গত ১৮ জুলাই সরকার দ্য কমিশন্স অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট ১৯৫৬ এর ৩ ধারার ক্ষমতাবলে আমাকে দিয়ে এক সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দেন।
গত ১৬ জুলাই ছয়জন ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ উদঘাটন ও তাদের মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণ এবং ৫ থেকে ১৬ জুলাই সংঘঠিত অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তথ্যাদি, প্রমাণাদি আগামী ৬ আগষ্টের মধ্যে সরাসরি, ডাকযোগে বা ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠাতে পারবেন। এরইমধ্যে কমিশন তার কাজ শুরু করেছে। তারই আলোকে আজকে কমিশনের প্রথম মিটিং হলো। গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন নাগরিকের কাছে যেসব তথ্য আছে, সেগুলো আহ্বান করব। কী পদ্ধতির মাধ্যমে হবে, সেটা গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে। ’
প্রথম দিনের মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগ) মো. মাহমুদুল হোসাইন খান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (আইন অনুবিভাগ) অতিরিক্ত সচিব জাহেদা পারভীন, আপিল বিভাগের অতিরিক্তি রেজিস্ট্রার শেখ মোহা. আমীনুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব তানভীর আহমেদ ও মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৪
ইএস/এমজেএফ