কক্সবাজার: জেলায় পৃথক দুইটি হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে রব্বত আলী হত্যা মামলায় তিনজন এবং রামু উপজেলার পানিরছড়া মামুন বাজার এলাকায় খোরশেদ আলম বাবুল হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকেলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মোশারফ হোসাইন পৃথক এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার আসামিরা হলেন জালাল আহমেদ, আব্দুল মালেক, শামসুল আলম, করিম দাদ, আব্দুল মুনাফ ও শেরে ফরহাদ। তাদের মধ্যে জালাল আহমেদ ও আব্দুল মালেক মারা গেছেন।
আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মোজাফফর আহমেদ হেলালী জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ১৯৯৫ সালের ৪ মার্চ কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে ছোট ভাইয়ের নির্দেশে খুন হন রব্বত আলী নামে এক দিনমজুর। এ ঘটনায় নিজেকে আড়াল করতে পরেরদিন (৫ মার্চ) ৪১ জনের নামে থানায় মামলা করেন নিহত রব্বতের ছোট ভাই জালাল আহমেদ। পরে ২০ মার্চ বাদীকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি ফৌজদারি দরখাস্ত করেন নিহত ব্যক্তির স্ত্রী জুবাইরা বেগম। আদালত মামলা দুইটি সিআইডির সিনিয়র অফিসার দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে সিআইডির পরিদর্শক করিম গণি জালাল আহমেদকে প্রধান করে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। আদালত দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
অপর দিকে আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি শওকত বেলাল জানান, ১৯৯৫ সালের ২০ ডিসেম্বর রামু উপজেলার পানিরছড়া মামুন বাজার এলাকায় যাত্রীবাহী ট্যাক্সি ভাড়াকে কেন্দ্র করে চাচাতো ভাই শেরে ফরহাদের হাতে খুন হন খোরশেদ আলম বাবুল। নিহত বাবুল ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূঁইয়ার ছেলে। একইদিন আবুল কাশেম বাদী হয়ে শেরে ফরহাদ ও তার বাবা সিরাজুল ইসলামের নামে রামু থানায় মামলা করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা রামু থানার তৎকালীন এসআই মোহাম্মদ মোস্তফা তাদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আজ শেরে ফরহাদের মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অপর আসামি মৃত্যুবরণ করায় তাকে অব্যাহতি দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২৪
এসবি/এফআর