ঢাকা: মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়ায় অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থপাচারের বিষয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) তদন্ত করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়াকে কিছু ব্যক্তি ও রিক্রুইনমেন্ট এজেন্সির সিন্ডিকেটমুক্ত করে সব রিক্রুইনমেন্ট এজেন্সির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং নির্ধারিত ব্যয়ের কয়েকগুন বেশি ফি নেওয়ার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধে সরকার নির্ধারিত ব্যয় ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা প্রদান নিশ্চিত করতে একটি পরিপূর্ণ গাইডলাইন তৈরির নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না এবং সব প্রক্রিয়া শেষ করা সত্ত্বেও ১৭ হাজারের বেশি কর্মী যে সব রিক্রুইনমেন্ট এজেন্সির অবহেলা ও অনিয়মের কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি তাদের কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নিদের্শনা দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. নাজিমুদ্দীন ও মো. আবুল কাশেম সেলিম।
এর আগে গত ১৫ জুলাই রিক্রইটমেন্ট এজেন্ট মেসার্স ইউনাইটেড এক্সপোর্ট লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী এস এম রফিক এ রিট করেন।
আদেশের বিষয়ে আইনজীবী মো. নাজিমুদ্দীন সাংবাদিকদের জানান, আদালত রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থপাচারের বিষয়ে তদন্ত করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে দুদক ও বিএফআইইউকে নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুদক চেয়ারম্যান, বিএফআইইউয়ের প্রধান, বৈদেশিক কর্মসংস্থান অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে আদেশে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২৪
ইএস/আরআইএস