ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে করা রিট সরাসরি খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।
রোববার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া ১৯ আগস্ট এ রিট করেন। রিটের পক্ষে তিনি নিজে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো.আসাদুজ্জামান।
গত মঙ্গলবার শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল রিটটি খারিজ চেয়ে বলেন, রিটটি যাদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে, সেই আওয়ামী লীগকে রিটে পক্ষভুক্ত করা হয়নি এবং কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। এ রিটের কোনো লোকাস স্ট্যান্ডই নেই (রিট করার এখতিয়ার)। এ রিট মেইনটেনেবল নয়। তাই রিটকারিকে কস্ট (জরিমানা) করার আবেদন করছি।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ বা নিবন্ধন বাতিল করার কোনো উদ্দেশ্য নেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। সংবিধানে সংগঠন ও রাজনৈতিক দল পরিচালনার যে স্বাধীনতা রয়েছে, এ সরকার তাতে বিশ্বাস করে। আর বিগত কর্তৃত্ববাদী সরকারের সঙ্গে জড়িতদের অন্যায়-অবিচারের বিচার আইন আদালতের মাধ্যমে হবে। এর জন্য কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা সমীচীন নয়।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের জন বিভাগের সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, আইন সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর , বিএফআইইউ প্রধান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়কদের বিবাদী করা হয়।
আবেদনে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২৪
ইএস/আরএইচ