ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

১৩ বছর পর শিশু ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন  

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪
১৩ বছর পর শিশু ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন  

নাটোর: নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় সাত বছর বয়সী একটি শিশুকে ধর্ষণের দায়ে মো. দুলাল হোসেন (৩১) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ভিকটিমকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে ১৩ বছর আগে।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন। এসময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত দুলাল হোসেন জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার চাইপাড়া গ্রামের মো. মোস্তাকিমের ছেলে। ভুক্তভোগী শিশুর বাড়ি রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলায়। ঘটনার সময় আসামির বয়স ছিল ১৮ বছর এবং শিশুটির বয়স ছিল সাত বছর। তাদের উভয়ের বাড়ি নাটোর ও রাজশাহী জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায়।  

নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (বিশেষ পিপি) অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, ২০১১ সালের ২ জুলাই সকাল ১১টার দিকে শিশুটি বাড়ির পাশের রাস্তায় খেলছিল। এসময় দুলাল পেয়ারার লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে নিজেদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। পরে বাড়ির পাশের দর্জির দোকানে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন দুলাল। এসময় শিশুটির চিৎকার শুনে আশপাশে থাকা অন্য একটি শিশু ভুক্তভোগীর মাকে জানায়। পরে শিশুটির মা গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। আর দুলাল দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।  

পরে চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পরদিন ৩ জুলাই শিশুটির দাদা আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে বাগাতিপাড়া থানায় দুলাল হোসেনকে অভিযুক্ত করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।  

মামলাটি তদন্ত করে একই বছরের ১৬ আগস্ট মামলার পুলিশ আদালতে চার্জশিট দেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এ রায় দেন বিচারক।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।