ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও ৩ অভিযোগ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও ৩ অভিযোগ

ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকা ও গাজীপুরে হত্যা এবং আহত করার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পৃথকভাবে নিহত দুইজনের বাবা ও একজন আহত ব্যক্তি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর এ অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।

৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে ভারতে অবস্থান করা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আজকের এ তিনটি অভিযোগসহ মোট ২২টি পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর মধ্যে নয়টি চিফ প্রসিকিউটর বরাবর জমা দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলো তদন্ত সংস্থায় দাখিল করা হয়।

উত্তরা

১৯ জুলাই বিকেল ৬টায় সাব্বির ইসলাম সাকিব নামে এক ছাত্রকে উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরে পাঁচটি গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ছাত্রের মরদেহ বাগেরহাটে নেওয়ার সময় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করা হয়। রাত ৩টায় ৩০ মিনিটের মধ্যে জানাজা দিয়ে দাফন করতে বাধ্য করা হয়। অন্যথায় পুলিশ মরদেহ নিয়ে যেতে চায়। এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৬০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করা হয়। অভিযোগটি দাখিল করেছেন তার বাবা মো. শহিদুল মল্লিক।

বিএনএস সেন্টারের সামনে

১৮ জুলাই দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট ঢাকা ময়মনসিংহ হাইওয়ে রোডে উত্তরা পূর্ব থানার বিএনএস সেন্টারের সামনে মোহাম্মদ মমিনুল ইসলাম মারজানকে গুলি করে আহত করা হয়েছে। মারজানের চোখে মুখে গলায় ও বুকে পুলিশের গুলি লাগে। প্রথমে তিনি ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসা নেন এবং পরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট থেকে চোখের চিকিৎসা করে চোখ থেকে গুলি বের করা হয়। সবশেষে তিনি সিএমএইচে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এ ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন মারজান।

গাজীপুর

৫ আগস্ট বিকেল ৪টায় গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর মৌচাক এলাকার সন্নিকটে অবস্থিত শফিপুর আনসার ভিডিপি একাডেমির সামনে মোহাম্মদ হায়াতুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হওয়ার পর হায়াত তার বড় ভাই সোহাগ মিয়ার সঙ্গে ঘটনাস্থলে আনন্দ মিছিল করা অবস্থায় পুলিশ এবং আনসার বাহিনী গুলি বর্ষণ করে। পুলিশের গুলিতে হায়াত ও তার ভাই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তখন সোহাগ মিয়া তার ভাই হায়াতকে খুঁজে পাননি। পরবর্তীতে ১৬ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সহায়তায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে হায়াতের মরদেহ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে হায়াতের বাবা মোহাম্মদ আয়াতুল্লাহ অভিযোগ দায়ের করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
ইএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।