ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বিচারপতিরা কেন বিব্রতবোধ করেন, প্রশ্ন আসিফ নজরুলের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
বিচারপতিরা কেন বিব্রতবোধ করেন, প্রশ্ন আসিফ নজরুলের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.আসিফ নজরুল

ঢাকা: ঢালাও মামলা এবং বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে মানুষকে হয়রানি করা থেকে বের হতে বলেছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.আসিফ নজরুল।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের ইনার গার্ডেনে প্রধান বিচারপতির অভিভাষণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকদের উদ্দেশ্যে ড.আসিফ নজরুল বলেন, বিচারপতিদের কাছে মানুষ বিচার চাইতে আসে। তারা বিব্রতবোধ করেন। কেন বিব্রতবোধ করেন আপনি? বিব্রতবোধ করবেন যখন আপনার ভাই বোন বিচার চাইতে আসে। বিচারপ্রার্থী মানুষ কোথাও বিচার না পেয়ে আপনার কাছে এসেছে। আপনি কীভাবে বিব্রতবোধ করেন?

প্রধান উপদেষ্টার এক মামলা নিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, আপনারা বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা ড.ইউনূসের আর্জি গ্রহণ করতে বিব্রতবোধ করেছিলেন। কেন করেছিলেন। আপনার এটা দায়িত্ব না? আপনার এটা সাংবিধানিক দায়িত্ব না? আপনি শুনে (শুনানি গ্রহণ করে) রিজেক্ট করে দেন। সমস্যা নেই। আপনি শুনবেনই না। আপনাদের সুনাম কিছু বিচারপতির কারণে ক্ষুণ্ন হয়েছে। এগুলি আর করবেন না। মানুষ বোকা না। মানুষের বিচার বুদ্ধি আছে।

ঢালাও মামলার বিষয়ে ড.আসিফ নজরুল বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার গায়েরি মামলা ও ঢালাও মামলার কালচার শুরু করেছিল। আমরা সেটা থেকে বের হতে চাই। অনেকের বিরুদ্ধে ঢালাও মামলা হয়ে গেছে। আমরা প্রকৃত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা ঢালাও মামলা, বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে মানুষকে হয়রানি করা মানুষের জীবন জীবিকাকে নিশ্চিহ্ন করা, মানুষের ক্রমাগত ক্ষত, ক্রোধ, কোন্দল সৃষ্টি করা থেকে বের হতে চাই।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, বিচার বিভাগ সংস্কার সংক্রান্ত কমিশনের চেয়ারম্যান আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও অধস্তন আদালতের বিচারকবৃন্দ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
ইএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।