বরিশাল: লঞ্চে পোশাক কারখানার কর্মীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি দুই লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাব্যুনালের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামি পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার মৃত মানিক সিপাইর ছেলে সুমন সিপাই (৩০) আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রিশিবপুর ইউনিয়নের বড় পুইয়াউটা এলাকার বাসিন্দা মো. বজলু বেপারী। তার ছোট মেয়ে পোশাক কারখানার কর্মী আঁখি আক্তার ঘটনার আগে নারায়ণগঞ্জে প্রথম স্বামী হৃদয়ের সাথে বসবাস করতেন। ২০১৯ সালের ১৯ জুলাই আঁখি জাতীয় পরিচয়পত্র করার জন্য ঢাকা থেকে বরিশালের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। সুরভী-৮ লঞ্চে ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। পরের দিন ২০ জুলাই লঞ্চটি বরিশালে এলে স্টাফ কেবিন থেকে আঁখির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর সুরতহাল করতে গিয়ে হত্যার আলামত পাওয়া গেলে আঁখির বাবা অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তের বরাতে বরিশালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের আইন কর্মকর্তা উম্মে আসমা শেলী জানান, আঁখি আক্তার ঢাকা থেকে আসার পথে লঞ্চে কেবিন না পেলে আসামি সুমন সিপাই তাকে স্টাফ কেবিন ম্যানেজ করে দেয়। রাতে সুমন আঁখির কেবিনে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় আঁখি চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করলে আসামি তাকে গলা চেপে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে ভোরে বরিশাল নৌ বন্দর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি জানান, এ ঘটনায় আঁখির বাবা বজলু বেপারী বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত সুমন সিপাইকে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জ গঠন করে। আদালত ২৫ জনের মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ এই রায় দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০২৪
এমএস/এএটি