ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কার জন্য প্রতিকার-বাদী না বিবাদী?

মানবাধিকার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৪
কার জন্য প্রতিকার-বাদী না বিবাদী?

অনেক মামলায় একাধিক বাদী-বিবাদী থাকে। একই মামলায় একাধিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি থাকলে অহেতুক মামলা জট এড়ানোর জন্য একই স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরকে একই মামলার পক্ষভূক্ত করা হয়।


এতে মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি না করেও সবাইকে প্রতিকার দেওয়া যায়। যেক্ষেত্রে কোনো মামলায় একের ‍অধিক বাদী থাকে, সেক্ষেত্রে এ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।

অনেক ক্ষেত্রে একই কাজ থেকে যদি দুই বা ততোধিক ব্যক্তির প্রতিকার লাভের অধিকার সৃষ্টি হয়। সেই সাথে প্রকৃত ঘটনা বা আইন সম্পর্কে একটি সাধারণ প্রশ্নও উত্থাপিত হয়।
এসব ক্ষেত্রে সবাইকে একটি মামলায় বাদী হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়।

আবার একই মামলার প্রত্যেক বাদীকে সমগ্র বিষয়বস্তুতে স্বার্থসংশ্লিষ্ট হওয়ার প্রয়োজন নেই। কোনো একটি বিষয়ে স্বার্থসংশ্লিষ্ট হলেই চলবে।

‌উপরে উল্লিখিত শর্তগুলো পূরণ না হলে তাদের সবাইকে একই মোকদ্দমায় বাদী হিসেবে শ্রেণীভূক্ত করা যাবেনা । এক্ষেত্রে তারা আলাদা মামলা দায়ের করবে।

এই ধারার শর্ত পূরণ না হলে দুই বা ততোধিক ব্যক্তিকে একটি মামলায় বাদী শ্রেণীভূক্ত করলে তা বাদীর অপসংযোগ বলে গণ্য হবে।

কিন্তু কোনো মামলা  এ ব্যাপারে  অভিযোগ থাকলে মামলা দায়েরের শীঘ্রতম সম্ভাব্য সুযোগের সময় দাখিল করতে হবে। নাহলে এধরনের আপত্তি পরিত্যাগ করা হয়েছে বলে গণ্য হবে।

এ ধরনের অভিযোগ দায়েরের পরে যদি আদালতের কাছে বাদীর অপসংযোগ প্রতীয়মান হয়, তবে আদালত মামলা খারিজ না করে ওই সকল ব্যক্তিদের নাম বাদ দেওয়ার জন্য আরজি সংশোধনের সুযোগ প্রদান করবেন।
যেক্ষেত্রে একাধিক ব্যক্তি কোনো কাজ সম্পর্কে যৌথভাবে একই প্রতিকারের অধিকারী এবং তাদের একজন উক্ত প্রতিকার বলবতৎ করার জন্য মামলা দায়ের করতে চায়, তবে সে অন্যান্য ব্যক্তিদেরকেও মামলায় সহবাদী হতে বলবে।

যদি তারা অস্বীকার করে, তবে তাদেরকে অবশ্যই বিবাদী শ্রেণীভূক্ত করতে হবে। কারণ, আইনের সাধারণ নীতি হলো যে, কোনো একটি প্রতিকার লাভে অনেক ব্যক্তি অধিকারি হলে তাদেরকে হয় বাদী অথবা বিবাদী হিসাবে মামলায় শ্রেণীভূক্ত করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।