যদি কোনো ব্যক্তি অপরের সম্পত্তি আত্মসাৎ করেন তাহলে তিনি দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। সেই সাথে আদালত অপরাধীকে অথর্দণ্ডও প্রদান করতে পারেন।
দণ্ডবিধিতে বলা আছে, যদি কোনো ব্যক্তি অসাধুভাবে কোনো অস্থাবর () সম্পত্তি আত্মসাৎ করেন বা তার ব্যবহারে পরিণত করেন সে ব্যক্তি যেকোনো ধরনের (সশ্রম বা বিনাশ্রম) কারাদণ্ডে যার মেয়াদ দুই বছর পর্যন্ত হতে পারে বা জরিমানা দণ্ডে বা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।
সম্পত্তি গ্রহণ করা মানেই আত্মসাৎ নয়:
যদি কোনো ব্যক্তি অপর কোনো ব্যক্তির দখলে নয়, এমন কোনো সম্পত্তি দেখতে পায় এবং তা তার মালিকের পক্ষে সংরক্ষণ করে ও মালিকের কাছেই ফিরিয়ে দেয়ার জন্য গ্রহণ করে, সে ব্যক্তি সেই সম্পত্তি অসাধুভাবে গ্রহণ বা আত্মসাৎ করেনি। তাই তিনি এ ধারা অধীন অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন না। তবে মালিককের কাছে ফেরত দেয়ার আগে যদি ব্যবহার করে, তবে ততটুকু সময়ের জন্য তা আত্মসাৎ বলে বিবেচিত হবে। তবে এসব ক্ষেত্রে ‘যুক্তিসঙ্গত মাধ্যম’ বা ‘যুক্তিসঙ্গত সময়’ বলতে কী বোঝায় তা একটি আলোচ্য বিষয়।
আত্মসাৎ করার সময় সে তার নিজস্ব সম্পত্তি বলে বিশ্বাস না করলে বা প্রকৃত মালিককে খুঁজে পাওয়া যায় না বলে বিশ্বাস করলেই যথেষ্ট হবে।
দণ্ডবিধির ৪০৩ ধারায় সম্পত্তি আত্মসাতের সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে। উক্ত ধারায় বলা আছে, যে ব্যক্তি অসৎভাবে কোনো অস্থাবর সম্পত্তি আত্মসাৎ বা তছরুপ করে কিংবা তার নিজের ব্যবহারে প্রয়োগ করে, তাহলে সে ব্যক্তি ঐ সম্পত্তি তছরূপ করেছে বলে গণ্য হবে এবং সে জন্য সে ব্যক্তি দুই বছর পর্যন্ত যে কোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে বিংবা অথর্দণ্ডে বিংবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
সুতরাং অন্যের অস্থাবর সম্পত্তি অসাধুভাবে আত্মসাৎ করার নামই অরপরাধমূলক সম্পত্তি আত্মসাৎ। আইনের দৃষ্টিতে এটি গুরুতর অপরাধ।