ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘জামিন পাননি’ কাজী কামাল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৮
‘জামিন পাননি’ কাজী কামাল

ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামালের জামিন আবেদন ৩১ জুলাই পর্যন্ত স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রেখেছেন হাইকোর্ট।

জামিন আবেদনের ওপর শুনানির পর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (২৩ মে) এ আদেশ দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

পরে খুরশীদ আলম খান বলেন, আদালত তার আবেদন স্ট্যান্ডওভার রেখেছেন ৩১ জুলাই পর্যন্ত। তার অর্থ তিনি জামিন পাননি। কারণ ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এ মামলার আপিল নিষ্পত্তি করতে সময় বেধে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

তিনি বলেন, জামিন আবেদনে তার আইনজীবীরা বলেছেন কাজী কামালের একটি সামাজিক মর্যাদা আছে। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য। একটি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানও ছিলেন। তার আবেদন মঞ্জুর করা হোক। জবাবে বলেছি, যারা এতিমের টাকা মেরে দণ্ডিত হয়, তাদের আবার কিসের সামাজিক মর্যাদা?। আপিল বিভাগ ৩১ জুলাই সময় বেধে দিয়েছেন। সে পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করুক। দণ্ড বহালও থাকতে পারে আবার তিনি খালাসও পেতে পারেন। এরপর আদালত তার জামিন আবেদন ৩১ জুলাই পর্যন্ত স্ট্যান্ডওভার রেখেছেন।

এ মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের মধ্যে কারাবন্দি তিনজনেরই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। বাকী তিন আসামি পলাতক রয়েছেন।

আদালত এই তিন আসামির আপিল শুনানি এবং খালেদা জিয়ার সাজা বাড়াতে জারি করা রুলের শুনানি একইসঙ্গে নিবেন।

খালেদা জিয়া ছাড়া বাকী দু’জন হলেন, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। পলাতক তিনজন হলেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান মামলাটিতে খালেদা জিয়ার ৫ বছর কারাদণ্ডদেন।

একইসঙ্গে খালেদার ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড.কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

রায় ঘোষণার ১১দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রায়ের সার্টিফায়েড কপিবা অনুলিপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর হাইকোর্টেরসংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রুয়ারি এ আবেদন দায়ের করেন। ২২ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ এবং অর্থদণ্ড স্থগিত করে নথি তলব করেন।

এরপর ৭ মার্চ অপর আসামি মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামালের আপিলও শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।

১০ মে আরেক আসামি শরফুদ্দিনের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

এদিকে খালেদা জিয়া আপিলের পর জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন। হাইকোর্ট তাকে জামিন দিলেও দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরুদ্ধে আপিল করে। কিন্তু আপিল বিভাগ তার জামিন বহাল রেখে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করতে আদেশ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৮
ইএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।