একই সঙ্গে ব্যাংক কর্মকর্তা অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তলব করা হয়েছে।
আদালতে আদেশে অব্যাহতি পাওয়া তিন কর্মকর্তাকে হাজিরের পর রোববার (৭ এপ্রিল) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বিক্রি করা জমি ও ফ্ল্যাট অবিক্রীত দেখিয়ে ঋণ তুলে ১৫ কোটি টাকা গ্রাহকের নামে বিতরণ করে আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ৫ জনকে আসামি করে রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা করে। এ মামলায় ২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট তিন ব্যাংক কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দিয়ে এভারেস্ট হোল্ডিং অ্যান্ড টেকনোলজিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবু বোরহান চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএইচএম বাহাউদ্দীন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক উপ-পরিচালক বর্তমানে পরিদর্শক মো. আব্দুল কুদ্দুস খানকে আসামি করে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে দুদক।
এ মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ২০১৫ সালের ১২ এপ্রিল এভারেস্ট হোল্ডিং অ্যান্ড টেকনোলজিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন। অপর আসামিকে খালাস দেন। এরপর সাজাপ্রাপ্ত এএইচএম বাহাউদ্দীন হাইকোর্টে আপিল করে জামিন আবেদন করেন।
তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানিকালে হাইকোর্ট তিন কর্মকর্তাকে তলব করেন। তারা হলেন- রুপালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক এসএম আতিকুর রহমান, উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলী ও সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আবদুস সামাদ সরকার।
আদালতে এএইচএম বাহাউদ্দীনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. রিজাউল ইসলাম রিয়াজ। দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন হাসান এম এস আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। তিন ব্যাংক কর্মকর্তার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শেখ ওবায়দুর রহমান।
পরে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, রুপালী ব্যাংকের ১৫ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামিকে ধরতে পুলিশের আইজি, র্যাবের ডিজি, ডিএমপি কমিশনার ও সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে নির্দেশনাসহ প্রয়োজনে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড এলার্ট জারির নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে হাইকোর্টকে জানাতে বলেছেন। যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামি হলেন- এভারেস্ট হোল্ডিং অ্যান্ড টেকনোলজিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবু বোরহান চৌধুরী।
হাসান এম এস আজিম বাংলানিউজকে বলেন, এ মামলার এজাহারে তিন কর্মকর্তা ছিল। পরে তাদের বাদ দিয়ে চার্জশিট দেওয়া হয়। এ বিষয়টির ব্যাখ্যা দিতে ১৫ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে (আইও) তলব করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৯
ইএস/জিপি