ওই মামলার আসামির জামিন শুনানিতে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আগামী ৩০ এপ্রিল তাদের ওই শো’কজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. শহীদুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন।
স্ত্রী রেহেনা আক্তারকে হত্যার দায়ে ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল স্বামী মূর্তজা ওরফে মিন্টুকে আসামি করে মামলা করা হয়। ওই বছরের ৩০ জুন এই মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্র দাখিল ও অভিযোগ গঠনের পর এখন পর্যন্ত মামলাটির বিচার শেষ হয়নি। এ অবস্থায় আসামি মিন্টু হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
শুনানিকালে আসামির আইনজীবী বলেন, বিচার শেষ না হওয়ায় আসামি প্রায় চার বছর ধরে কারাগারে আছেন। এ কারণে তিনি জামিন পাওয়ার হকদার। তখন আদালত নথি পর্যালোচনা করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনানুযায়ী ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে বিচার শেষ করতে হবে। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে না পারলে ট্রাইব্যুনালের বিচারককে হাইকোর্টের কাছে ব্যাখ্যা দেওয়ার কথা আইনে বলা আছে। কিন্তু তিনি কোনো ব্যাখ্যা দেননি। এছাড়া পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও তদন্তকারী কর্মকর্তার (আইও) জবাবদিহিতার কথা বলা আছে।
পরে ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ বলেন, আইন অনুসারে এসব মামলা ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার পর ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে শেষ করতে হবে। যদি না পারেন তাহলে সেটা হাইকোর্টকে জানাতে হবে। কিন্তু বিচারক সেটা করেননি। এ কারণে তাকেসহ পিপি ও তদন্তকারী কর্মকর্তাকেও শো’কজ করেছেন। তারা ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এর লিখিত জবাব দেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৯
ইএস/আরবি/