বুধবার (১৭ এপ্রিল) ওই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য ছিলো। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন না দেওয়ায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ দিদার হোসেন নতুন দিন নির্ধারণ করেন।
কাজী নওশাবা আহমেদের আইনজীবী ফৌজদারী কার্যবিধির ২০৫ ধারায় নওশাবার অনুপস্থিতিতে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার অনুমতি চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। আগামী তারিখ থেকে নওশাবাকে আদালতে আর হাজিরা দিতে হবে না।
গত ১৫ জানুয়ারি নওশাবার উপস্থিতিতে আইনজীবী ইমরুল কাওসার স্থায়ী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে নওশাবার স্থায়ী জামিন আবেদন মঞ্জুর এবং একই সঙ্গে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গত ৩ মার্চ দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট ফেসবুক লাইভে আসেন নওশাবা। ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, “জিগাতলায় চারজনকে মেরে ফেলা হয়েছে, একজনের চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে। ”
সেই সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওইদিন জিগাতলায় এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পরে গুজব সৃষ্টির অভিযোগে ওইদিন রাতেই উত্তরা থেকে নওশাবা আহমেদকে আটক করে র্যাব। এর পর দিন ৫ আগস্ট র্যাব-১ এর কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় নওশাবার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তারপর তথ্যপ্রযুক্তি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
৫ আগস্ট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল হক তাকে চারদিনের পুলিশ রিমান্ডের আদেশ দেন। প্রথম দফায় রিমান্ড শেষে ১০ আগস্ট আবারও নওশাবাকে দুই দিনের পুলিশ রিমান্ডের আদেশ দেন একই অদালত।
এরপর ২০১৮ সালের ২১ আগস্ট পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় নওশাবা সিএমএম আদালতে জামিনে মুক্তি পান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৯
এমএআর/এমজেএফ