বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন আসামি গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে সাজা পরোয়ানা ইস্যু করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ৮ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুব আলম, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। অন্যদিকে আসামি পক্ষে আসাদুজ্জামান, জাহেদুল ইসলাম কোয়েল ও হেলাল উদ্দিন যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন।
যুক্তি উপস্থাপন শেষে একই আদালত ২৪ এপ্রিল রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
আসামি গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে ওইদিনও কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছিলো।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বিটিএল ও গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালের চেয়ারম্যান এম শাহজাদ আলী রেলওয়ের সিগন্যাল সিস্টেম আধুনিকায়নের টেন্ডার পান। কিন্তু কার্যাদেশ চূড়ান্ত করার সময় মামুন তার কাছে অবৈধ কমিশন দাবি করেন এবং তা না দিলে কার্যাদেশ বাতিলের হুমকি দেন।
এভাবে মামুন ২০০৩ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে ছয় কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা আদায় করেন। পরবর্তীতে ওই টাকা লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকে পাচার করেন।
ওই ঘটনায় ২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করে দুদক। পরের বছর ২৯ এপ্রিল মামুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। চার্জশিটভুক্ত ১২ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ১০ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৩০ জানুয়ারি যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। এরপর থেকেই তিনি কারাগারে আছেন।
২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে আরেকটি অর্থপাচার মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত। এ সময় মামুনকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়েছিলো এবং পাচার করা ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
এমএআর/এমজেএফ