বুধবার (২৪ এপ্রিল) পুরান ঢাকার বকশিবাজারের অস্থায়ী আদালতে মামলা দু’টির চার্জ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল।
কিন্তু এ দিন খালেদা জিয়া অসুস্থ এবং হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তার আইনজীবীরা আদালতে সময়ের আবেদন করেন।
এই দুই মামলায় ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন খালেদা জিয়া।
২০১৬ সালরে ৩ নভম্বের স্বাধীনতাবিরোধীদের মন্ত্রী বানিয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়েছে বলে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে একটি মানহানির মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী।
অপরদিকে, ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, খালদো জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালে ১৯ ও ২২ আগস্ট দুইটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর এসএসসি পরীক্ষার মার্কশিটে জন্ম তারখি ৫ সেপ্টেন্বর ১৯৪৬। আবার ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিক খালেদার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তার জন্ম তারিখ ১৯ আগস্ট ১৯৪৫ উল্লেখ করে।
এছাড়া তার বিয়ের কাবিননামায় জন্ম তারিখ দেওয়া আছে ৪ আগস্ট ১৯৪৪। সর্বশেষ ২০০১ সালে পাসপোর্ট অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ৫ আগস্ট ১৯৪৬।
মামলায় আরও বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে তার পাঁচটি জন্মদিন পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মদিন পাওয়া যায়নি।
পাঁচটি জন্মদিনের একটিও পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষীকিতে জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ-উৎসব করে জন্মদিন পালন করছেন খালেদা জিয়া। শুধু বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সুনাম নষ্ট করার জন্য এই জন্মদিন পালন করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
এমএআর/টিএ