বুধবার (২৪ এপ্রিল) মামলার সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তারা এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন বলে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে বাংলানিউজকে জানান আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ রকিবুর রহমান।
তিনি জানান, বিইউপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আবরার নিহত হওয়ার মামলায় দুই জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল হয়েছে।
বাসচাপা দিয়ে আবরারকে মেরে ফেলার এ মামলায় দণ্ডবিধির ৩০৪-সহ সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এই ধারার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বলেও জানান এসআই শেখ রকিবুর।
অন্যদিকে মিরপুর আইডিয়াল গার্লস ল্যাবরেটরি কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সিনথিয়া সুলতানা মুক্তাকে বাসচাপা দিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায় যে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন- চাপা দেওয়া সুপ্রভাত পরিবহনের সেই বাসের চালক সিরাজুল ইসলাম, চালকের সহকারী ইব্রাহিম, কনডাক্টর ইয়াছিন, বাসমালিক গোপাল সরকার।
গত ১৯ মার্চ নর্দায় সুপ্রভাতের ওই বেপরোয়া বাসের চাপায় প্রাণ হারান বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী আবরার। এর প্রতিবাদে ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিইউপিসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
এরপর সেদিন রাতেই আবরারের বাবা ব্রি. জে. (অব.) আরিফ আহমেদ চৌধুরী বাদী হয়ে গুলশান থানায় ২৭৯/৩৩৮-ক/৩০৪ ও ১০৯ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, ১৯ মার্চ বিইউপির শিক্ষার্থী আবরারকে চাপা দেওয়ার সময় বাসটি চালাচ্ছিলেন কন্ডাক্টর ইয়াছিন আরাফাত।
ওই ঘটনার কিছুক্ষণ আগে বাসটির মূল চালক সিরাজুল প্রগতি সরণির শাহজাদপুরে মুক্তাকে চাপা দিয়ে ট্রাফিক পুলিশের হাতে আটক হন। সেই ঘটনায় গুলশান থানায় আরেক মামলায় সিরাজুলকে গ্রেফতার দেখানো হয়। চালক সিরাজুল ইসলাম সাত দিন রিমান্ড শেষে গত ২৭ মার্চ ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর ২ এপ্রিল কন্ডাক্টর ইয়াছিন ও সহকারী ইব্রাহিমও ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৯
এমএআর/এইচএ/