জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
আদেশের পরে সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, আদালত আমাদের রিট পিটিশনের শুনানি শেষে একটি রুল ইস্যু করেছেন। রুলে সারাদেশে প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়েটিক বিক্রি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন। একইসাথে এ আদেশ পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে ওষুধ প্রশাসনের ডিজি, প্রতি জেলার সিভিল সার্জন ও ডিসিদের এসব আদেশ পাঠাবেন। এবং এ নির্দেশনা থাকবে আদেশ গ্রহণ করার সাথে এসব বিক্রি বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
সায়েদুল হক আরও বলেন, আজকের এই আদেশের পরে কার্যত প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বাংলাদেশে আর হতে পারে না, হবে না।
আমরা ডেইলি টেলিগ্রাফ, বিবিসি, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, চ্যানেল ২৪ প্রচারিত প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত (অ্যানেক্সার)করেছি।
ওই অ্যানেক্সারে বলা হয়েছে, যে অ্যান্টিবায়োটিক মানুষের খাওয়ার কথা, এগুলো এখন খাওয়ানো হচ্ছে পোল্ট্রিকে। পোল্ট্রিকে দেওয়া হচ্ছে। যার কারণে এগুলো ইনডাইরেক্টলি মানুষের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট তৈরি হচ্ছে।
....আমি তো মনে করি খ্যাদ্যের ব্যাপারে স্টেট অব ইমার্জেন্সি ঘোষণা করা উচিত। এ রকম পরিস্থিতিতে ৯০০ জন আইসিইউতে ভর্তি হয়েছিলো ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে। এর মধ্যে মরে গেছে ৪০০ জন একমাত্র বেশি অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের কারণে। তারপরে আর কী লাগে। আমরা বলেছি যদি কার্যকর ব্যবস্থা ডিসি সাহেবরা নেন, সিভিল সার্জনরা নেন তাহলে পরবর্তী জেনারেশনকে বাঁচানো যাবে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারল মোখলেছুর রহমান বলেন, আদালত রুল জারি করেছেন। এছাড়া বিক্রি বন্ধে ব্যবস্থা নিতে ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক আদেশ পাওয়ার দুদিনের মধ্যে সকল ডিসি ও সিভিল সার্জনের প্রতি সার্কুলার জারি করবেন।
রিটের বিবাদীরা হলেন, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জনপ্রশাসন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৯/আপডেট: ১৬১২ ঘণ্টা
ইএস/এমজেএফ