ওই মামলার এক আসামির জামিন শুনানির সময় সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আগামী ৮ মে মামলার নথিসহ আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ। আসামিপক্ষে ছিলেন আব্দুর রশিদ মিয়া (বাদশা)।
পরে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৯৮ সালে ডেমরা থানায় দায়ের করা হযরত আলী হত্যা মামলার আসামি হেমায়েত ওরফে কাজল ওরফে কানন হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।
এ আবেদনের শুনানির সময় বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। দীর্ঘদিনেও মামলাটির বিচার কাজ শেষ না হওয়ায় ঢাকার ৫ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারককে তলব করেছেন আদালত। আগামী ৮ মে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করে ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ বলেন, ১৯৯৮ সালের ১৬ মার্চ হযরত আলীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একইসঙ্গে মাসুদ হোসেন ব্রিটেন নামের আরেক যুবকের দুই হাত কেটে নেওয়া হয়। এই ঘটনায় নিহতের বাবা শওকত আলী ফকির বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ ১০/১৫ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় মামলা করেন। এ মামলায় তদন্ত শেষে হেমায়েতসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ২০০৩ সালের ১১ মে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। মামলায় নিম্ন আদালতে ২০০৪ সালের ৮ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। এদিকে আগামী ২ মে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯,২০১৯
ইএস/জেডএস