এ বিষয়ে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৬ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েস মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষীর অবশিষ্ট জেরার শেষ হলে এই তারিখ ধার্য করেন।
ক্যান্টনমেন্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিয়াদ আহমেদ কর্মরত থাকাকালীন মামলাটি প্রথম তদন্ত করেন। মামলাটিতে গত ১১ ফেব্রুয়ারি এ সাক্ষীর সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন। ওইদিন জবানবন্দির পর আংশিক জেরা হয়। এরপর গত ১৮ মার্চ আরও জেরা করেন আসামিপক্ষ ওইদিন জেরা শেষ না হওয়ায় ২৯ এপ্রিল জেরার দিন ধার্য করা হয়। এ নিয়ে মামলাটিতে ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।
গত বছর ৪ নভেম্বর থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মামলাটিতে মোট ৪১জন সাক্ষী রয়েছেন।
মামলাটিতে আসামি জাবালে নুরের ঘাতক বাসচালক মাসুম বিল্লাহ, হেলপার মো. এনায়েত হোসেন ও চালক মো. জোবায়ের সুমন কারাগারে রয়েছেন। মামলার অপর দুই আসামি বাস মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও হেলপার মো. আসাদ কাজী পলাতক রয়েছেন।
মামলার অপর আসামি বাসের মালিক মো. শাহদাত হোসেন আকন্দের অংশের বিচার হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত রয়েছে।
গত ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশ। মামলায় গত বছর ২৫ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন।
মামলায় বলা হয়, গত ২৯ জুলাই জাবালে নূর পরিবহনের দুইটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের ঢালে রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ১৪/১৫ জন ছাত্রছাত্রীর উপর তুলে দেয়। এতে ১৩/১৪ জন ছাত্রছাত্রী গুরুতর আহত হয়। আহতদের মধ্যে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজীবের মৃত্যু হয়। গত ২৯ জুলাই দিনগত রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিহত দিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর আলম এ মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৯
এমএআর/এএটি