মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এ মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তদন্তকারী কর্মকর্তা মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন না দেওয়ায় মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী আগামী ২৯ মে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নতুন দিন ধার্য করেন।
গত ৩১ মার্চ একই আদালত ৩০ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তাকে। প্রতিবেদন না দেওয়ায় নতুন এ তারিখ ধার্য করা হলো।
শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) মো. জাকির হোসেন রাজধানীর গুলশান থানায় মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে মুসার বিরুদ্ধে ওই মামলা দায়ের করেন। মামলার অপর তিন আসামি হলেন- মো. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, বিআরটিএ ভোলা জেলা সার্কেলের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী আইয়ুব আলী আনছারী ও মেসার্স অটো ডিফাইন নামে গাড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. ওয়াহিদুর রহমান।
গত বছরের ২১ মার্চ মুসার ছেলের শ্বশুরবাড়ি থেকে শুল্ক ফাঁকি দেওয়া একটি গাড়ি উদ্ধার করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। তারপর মুসাকে কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কার্যালয়ে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভোলা বিআরটিএর কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে ভুয়া কাগজ দিয়ে উদ্ধার গাড়িটি রেজিস্ট্রেশন ও বেনামে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায়। মুসা বিন শমসের ১৭ লাখ টাকা শুল্ক পরিশোধ দেখিয়ে ভুয়া বিল অব এন্ট্রি প্রদর্শন করে গাড়িটি বেনামে রেজিস্ট্রেশন করেন। শুল্ক গোয়েন্দার অনুসন্ধানে দেখা যায়, ওই গাড়িতে ২ কোটি ১৭ লাখ টাকার শুল্ক প্রযোজ্য।
শুল্ক গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে মুসা বিন শমসের লিখিতভাবে জানান, সুইস ব্যাংকে তার ৯৬ হাজার কোটি টাকা গচ্ছিত আছে। তবে তিনি এই টাকার কোনো ব্যাংক হিসাব বা বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি।
ওই ঘটনায় তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে মুসার বিরুদ্ধে মামলা করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) সুপারিশও করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। পাশাপাশি কর ফাঁকি দেওয়া অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলার অনুমতি চাওয়া হয় রাজস্ব বিভাগের কাছে। সেই অনুমতি পাওয়ার পর এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৯
এমএআর/এএ