ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

অরিত্রী আত্মহত্যা: ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৯
অরিত্রী আত্মহত্যা: ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ অরিত্রী অধিকারী

ঢাকা: ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যা প্ররোচণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার(৩০ এপ্রিল) প্রতিষ্ঠানটির তিন শিক্ষিকা আদালতে হাজিরা দিলে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী বাদীর অভিযোগপত্র বিষয়ে  আপত্তি নেই জানালে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখা প্রধান জিন্নাত আরাকে আসামি করে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন।

 

গত ১০ এপ্রিল বাদীর উপস্থিতি প্রতিবেদন গ্রহণের শুনানির জন্য ৩০ এপ্রিল দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কামরুল হাসান গত ২০ মার্চ  শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদনসহ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখা প্রধান জিন্নাত আরাকে আসামি করে মামলায় অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন।

গত ১৪ জানুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে অ্যাডভোকেট বাহাউদ্দিনের মাধ্যমে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখা প্রধান জিন্নাত আরা আত্মসমর্পণ করে ৫ হাজার টাকার মুচলেকায় জামিন পান।
গত ৫ ডিসেম্বর শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাকে পুলিশ গ্রেফতার করে, ১০ ডিসেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান।

গত ৪ ডিসেম্বর অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখাপ্রধান জিন্নাত আরা ও শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাকে আসামি করে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষার সময় অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনে নকল রয়েছে, এমন অভিযোগে পরদিন অরিত্রীর মা-বাবাকে স্কুলে নিয়ে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অসম্মান করেন। পরদিন মেয়ের ছাড়পত্র নিয়ে যেতে বলেন অরিত্রীর বাবাকে।

বিষয়টি নিয়ে পরে প্রিন্সিপালের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। অপমাণিত হয়ে অরিত্রী দ্রুত প্রিন্সিপালের কক্ষ থেকে বের হয়ে বাসায় গিয়ে তার কক্ষে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।

এ ঘটনায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কমিটি তিনজনকেই অব্যাহতি দিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৯
এমএআর/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।