ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ঋণ খেলাপি: প্রতিবেদন দিতে ১৫ দিন সময়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৭ ঘণ্টা, মে ১, ২০১৯
ঋণ খেলাপি: প্রতিবেদন দিতে ১৫ দিন সময়

ঢাকা: গত ২০ বছরে যারা এক কোটি টাকার উপরে ঋণ নিয়েছেন তাদের তালিকা এবং এ বিষয়ে কমিশন গঠনে জারি করা রুলের বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে আদালত উষ্মা প্রকাশ করে প্রতিবেদন দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে ১৫ দিন সময় দিয়েছেন।

জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানিতে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
 
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান।
 
আদালত বলেন, আমরা দেখি ছোট ছোট ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আইনে মামলা হয়। কিন্তু রাঘব বোয়ালরা যারা আছেন, তারা ব্যাংক লুট করে ফেললো। অথচ তাদের বিরুদ্ধে কিছুই করা হচ্ছে না। বরং বারবার তাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আদালত বলেন, আমরা একমাসের মধ্যে কমিশন গঠন বিষয়ে রুল দিলাম। কিন্তু তারা তা বাস্তবায়ন করেনি।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ আদালতে বলেন, ঋণখেলাপির তালিকা ছোট করতে এবং আদালতের আদেশ অকার্যকর করতেই নতুন সার্কুলার জারি করছে।
 
এসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ খেলাপির তালিকা করার লক্ষ্যে তার তত্ত্বাবধানে থাকা ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে।

এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এক রিটের ওপর আদেশ দেন হাইকোর্ট।
 
ওইদিন মনজিল মোরসেদ বলেছিলেন, যারা এক কোটি টাকার উপরে ঋণ নিয়েছেন তাদের নাম, ঠিকানা, তালিকা আদালতে দাখিল করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছেন। অর্থ পাচারের ক্ষেত্রে কী কী ব্যবস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়েছে এবং কী পরিমাণ অর্থপাচার হয়েছে সে বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
 
ব্যাংকগুলোতে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে এবং ঋণের সুদ মওকুফ করার ক্ষেত্রে যে অনিয়ম চলছে, সেটার ব্যাপারে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেটাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
 
এছাড়াও রুল জারি করেছেন। রুলে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অন্যান্য ব্যাংকের বিভিন্ন আর্থিক ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা চলছে, সেগুলোর ব্যাপারে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং এ সমস্ত অনিয়ম, দুর্নীতি, বন্ধ করার জন্য একটি কমিশন গঠন করে সে কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন প্রতিনিধি ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধির সমন্বয়ে কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে অর্থপাচার হচ্ছে সেগুলোর ব্যপারে কেন কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মনজিল মোরসেদ।  
 
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৫ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৯
ইএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।