বৃহস্পতিবার (২ মে) পুরান ঢাকার বকশিবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত-২ এ খালেদা জিয়া অসুস্থ জানিয়ে তার পক্ষের আইনজীবীরা সময়ের আবেদন করেন। পরে বিচারক এইচ এম রুহুল ইমরান আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এ তারিখ ধার্য করেন।
মামলাটি হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ খারিজ করে দেওয়ায় কারা কর্তৃপক্ষকে গত ১৩ মার্চ খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের করা আবেদনের রুল খারিজ করে দেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই সঙ্গে মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন।
গত ৩১ জানুয়ারি এ মামলার আসামি বিএনপি নেতা আমিনুল হক ও এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীর পক্ষে সময়ের আবেদন করেছিলেন তাদের আইনজীবীরা। শুনানি শেষে ২৬ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
মামলায় ১৬ জন্য আসামির মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান ও বিএনপির সাবেক মহাসচিব আবদুল মান্নান, বিএনপি নেতা এম কে আনোয়ার ও এম শামসুল ইসলাম মারা যাওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় মোট আসামি ছিলেন ১৩ জন। চারজন মারা যাওয়ায় বর্তমানে আসামির সংখ্যা নয়জন।
আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়া, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মুঈনুল আহসান, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন।
২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীণ সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।
২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন খালেদা জিয়ার পক্ষে।
মামলার বাদী অভিযোগে বলেন, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির অনুমোদন দিয়ে কয়লা উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৯
এমএআর/আরবি