রোববার (৫ মে) বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ বেগম চমন চৌধুরী এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম মোবারক।
মামলার বাদী আব্দুর রশিদ তার অভিযোগে বলেন, ভিকটিম হনুফা বেগম তার বোন। ভাগ্নে মোবারক বিভিন্ন সময় তার মায়ের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিতো। কোনো সময় মা টাকা দিতে অস্বীকার করলে চড়াও হতো তার উপর। এমনকি মা হনুফাকে শেষ করে ফেলবে বলে হুমকিও দিতো।
গত ২০০৭ সালে ২৭ আগস্ট লোকমুখে শুনতে পাই যে আমার বোনের ঘরের বাইরে থেকে তালা বন্ধ এবং পচা দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমকে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ হত্যা করা হয়েছে বলে জানতে পারি।
বাদী হাজিরাবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ঘটনার পর আসামি মোবারককে পুলিশ গ্রেফতার করে। মা হনুফা বেগমকে হত্যার দায় স্বীকার ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দেন আদালতে। গ্রেফতারের পর থেকে আসামি কারাগারে বন্দি আছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফারুক ভুঁইয়া ২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ২০০৮ সালের ২ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। বিচার চলাকালীন ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে এ রায় দেন আদালত। রাষ্টপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ার শাহাদাত শাওন ও আসামিপক্ষে ছিলেন কাজী সালাহ উদ্দিন আহম্মেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৯
এমএআর/এএ