সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন সোমবার (৬ মে) বলেন, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে পারমিশন নেওয়া হয়েছে। আমি নিজেই রিট আবেদনের বাদী হয়েছি।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত আইনজীবী পলাশ জেলার আটোয়ারি উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের বড়সিংগিয়া গ্রামের প্রণব কুমার রায়ের ছেলে।
জানা যায়, তার বিরুদ্ধে একটি প্রতিষ্ঠানের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গত ২৫ মার্চ দুপুরে মানববন্ধন করার সময় প্রধানমন্ত্রীর নামে পলাশ কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। রাজীব রানা নামে এক তরুণ তার বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন। তাকে আটক করে ২৬ মার্চ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ২৬ এপ্রিল কারা হাসপাতালের বাথরুমে অগ্নিকাণ্ডের শিকার হন তিনি। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। গত ৩০ এপ্রিল দুপুরে চিকিত্সাধীন অবস্থায় পলাশ মারা যান।
ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন জানান, কারা হেফাজতে আসামি কীভাবে অগ্নিদগ্ধ হবে? অগ্নিদগ্ধ হওয়ার উপকরণ তার কাছে কীভাবে এলো? সে সুযোগ তো নেই। আর এ ঘটনায় কারাকর্তৃপক্ষ নিজেরা নিজেদের বিরুদ্ধে কীভাবে তদন্ত করবে। তাই বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে আবেদন করেছি।
এছাড়া আবেদনে কারা অভ্যন্তরের নিরাপত্তা সংস্কারের আর্জি জানানো হয়েছে।
আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজি প্রিজন, রংপুর বিভাগের ডিআইজি, পঞ্চগড়র কারাগারের জেলারকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৯
ইএস/এএ