একইসঙ্গে ‘উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে রিট করে সময়ক্ষেপণ করায়’ আবেদনকারীকে একলাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
সোমবার (০৬ মে) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিটকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জাফর সাদিক। অন্যপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ।
পরে মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ বলেন, ২০১৪ সালের চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরের বছর উপজেলা চেয়ারম্যানের মৃত্যু হলে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দা ফজলুল বারীসহ নয়জন উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের মুরশইল ও কেচুয়াতৈল গ্রামের সীমানার জটিলতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করলে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়।
তিনি বলেন, এর মধ্যে একই সীমানা নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, জাতীয় নির্বাচন হয়েছিলো। কিন্তু তারা কোনো প্রকার আইনের আশ্রয় নেয়নি। কেবলমাত্র তারা উপজেলা নির্বাচনে রিট করে স্থগিতাদেশ নিয়ে নির্বাচন আটকে রেখেছেন। চলতি বছরের শুরুতে ওই উপজেলার নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করলে হাইকোর্টের এক আদেশে নির্বাচন কমিশন তা স্থগিত করেন। পরে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মনসুর রহমান রিটে পক্ষভূক্ত হয়ে নির্বাচনের ওপর দেওয়া স্থগিতাদেশ তুলে নিতে আবেদন করেন। সোমবার শুনানি শেষে আদালত স্থগিতাদেশ তুলে রুল খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে ‘উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে রিট করে নির্বাচনে বিলম্বে করায়’ আবেদনকারীকে একলাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। এখন ওই উপজেলার নির্বাচন হতে কোনো বাধা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৯
ইএস/জেডএস