সোমবার (০৬ মে) বিকেলে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত -২ এর বিচারক গোলাম রসুল এ আদেশ দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বিপ্লব ওরফে দীপু, সাইফুল ইসলাম ও বাদল মিয়া।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সার ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম বুলু পীরগজ্ঞের ধাপেরহাট বাজার থেকে সার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায় করে রাত ৮টার দিকে পীরগঞ্জ বন্দরে মোটরসাইকেলযোগে ফেরার পথে খেজমতপুর বাজারের কাছে পৌঁছলে একদল সন্ত্রাসী তার পথরোধ করে। এ সময় তাদের হাতে থাকা রামদা দিয়ে সার ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে আহত করে তার কাছে থাকা নগদ ৪৫ হাজার টাকা, একটি মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেল ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পরের দিন আশরাফুল ইসলামের বড় ভাই আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে পীরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
তদন্তের সময় পুলিশ ৭ আসামিকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে দুই আসামি সার ব্যবসায়ী বুলুকে হত্যা করে মোটরসাইকেল ও নগদ অর্থ ছিনতাই করার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের নাম জানায়। তদন্ত শেষে ৮ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিচারক আসামি বিপ্লব ওরফে দীপু, সাইফুল ইসলাম ও বাদল মিয়াকে ফাঁসির আদেশ দেন। অপর চার আসামি জহুরুল ইসলাম, শাহানুর, মিলন ও মোফাজ্জল হোসেনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
এ বিষয়ে মামলা পরিচালনাকারী সরকারপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি ফারুখ মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, দীর্ঘ ১৩ বছর পর মামলার রায় হলেও বাদীপক্ষ ন্যায়বিচার পেয়েছে। এ রায়ে তারা সন্তুষ্ট বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী সরোয়ার হোসেন এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৯
জেডএস